চাঁচল: জনবহুল রাস্তা থেকে স্কুল ছাত্রীর মুখে রুমাল গুঁজে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ! স্থানীয়দের তৎপরতায় রক্ষা। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচলের গোবিন্দপাড়া এলাকায়। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনায় এক অপহরণকারী যুবক কে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরী চাঁচলের গোবিন্দ পাড়া স্কুলের সপ্তম শ্রেণীতে পাঠরত। গতকাল বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল টিউশনের উদ্দেশ্যে মাঝপথে কিশোরীকে অপহরণের চেষ্টা! কিশোরীর চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশী ও ক্লাবের যুবকরা।তাদের তৎপরতায় বড়সড় কাণ্ড থেকে রক্ষা পেল সপ্তম শ্রেণির ওই কিশোরী।বাসিন্দাদের একাংশ অপহরণকারীর দের পকড়াও করতে গেলেও এক যুবক চম্পট দেয়।খপ্পরে আসে একজন যুবক।বাসিন্দারা যুবকের উপর চড়াও হয়।মারধর করার আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চাঁচল থানার পুলিশ।গ্রামবাসীদের হাত থেকে ওই অপহরণ কারী ওই যুবককে পুলিশ উদ্ধার করে গ্রেফতার করে থানাই নিয়ে যায় পুলিশ। ঘটনা নিয়ে কিশোরীর পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বুধবার ধৃতকে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করেছে চাঁচল থানার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে,ধৃত যুবকের নাম জামরুল আলু (১৯) বাড়ি মালদহের মালতিপুরের শিমুল তলা এলাকায়। ওই কিশোরীর দাবি,গতকাল বিকেলে বাড়ি থেকে ৩০০ মিটার দূরত্বে টিউশন পড়তে বেরিয়েছিলাম মাঝপথে ৮১ নং জাতীয় সড়কের ধারে হঠাৎই দুই যুবক পথ আটকায়। তাদের মুখে কাপড় বাঁধা ছিল।বাইক থেকে নেমে জোরপূর্বক ভাবে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।আমার হাত মুচড়ে মুখে রুমাল গুঁজে বাইকের তোলার চেষ্টা করে।প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে চিৎকার শুরু করি।চিৎকার শুনে জড়ো হয় প্রতিবেশীরা।তারাই আমাকে উদ্ধার করে।
প্রকাশ্য দিবালোকে এই ধরনের অপহরণের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা বলেন, মেয়েকে অপহরনের চেষ্টা করছিল দুই যুবক। স্থানীয়দের তৎপরতায় আমি আমার মেয়েকে ফিরে পেয়েছি। আমি ঘটনা নিয়ে চাচোল থানা লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। ঘটনাই দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি জানায়।
চাচোল থানা পুলিশ জানাই, অপহরণের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করে মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।