জইশ-ই মহম্মদের (Jaish-e-Mohammed) টার্গেটে এবার অযোধ্যার রাম জন্মভূমি (Ayodhya Ram Janmabhoomi)। জানা গিয়েছে, ১৫ অগাস্টের আগেই জম্মু-কাশ্মীরে বড়সড় হামলার ছক কষছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনটি। তাদের নজরে রয়েছে পানিপথের তৈল শোধনাগারও (Panipat oil refinery)।
৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের আগে শনিবার জঙ্গি হামলার বড়সড় ছক বানচাল করল পুলিস। জম্মু-কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করা হল জইশ মডিউলের ৪ জঙ্গি। পুলিস সূত্রে খবর, উপত্যকায় IED বিস্ফোরণের ছক ছিল জঙ্গিদের। এছাড়া ড্রোনের মাধ্যামে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র পাচার এবং অন্য জঙ্গিদের কাছে সেই অস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার কাজ করত ধৃতরা।
জানা গিয়েছে, প্রথমে পুলওয়ামা এলাকা থেকে প্রথমে পুলিসের জালে ধরা পড়ে জইশ জঙ্গি মুনতাজির মানজুর। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন এবং দুটি চাইনিজ গ্রেনেড। এছাড়া একটি ট্রাকও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস।
ধৃত জঙ্গি মুনতাজিরকে জেরা করে আরও তিন জঙ্গির খবর পান তদন্তকারীরা। তাদেরও গ্রেফতার করা হয়। জম্মু-কাশ্মীর পুলিসের IGP জানিয়েছেন যে, জেরায় জঙ্গি ইজহার খান স্বীকার করেছে, তাদের টার্গেট ছিল পানিপথের তৈলি শোধনাগার (Panipat oil refinery) এবং অযোধ্যার রাম জন্মভূমি (Ayodhya Ram Janmabhoomi)। এই দুটি স্পটের রেইকি করার দায়িত্ব ছিল তার উপরে। সেখানকার ভিডিয়ো পাকিস্তানে বসে থাকা জইশ কমান্ডর মুনাজির ওরফে শাহিদকে পাঠিয়েছে। সোপিয়ান থেকে ধৃত জঙ্গি, তওসিক আহমেদ শাহ জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে বড়সড় হামলার লক্ষ্যে পুরনো বাইক কেনার দায়িত্ব ছিল তার উপরে। জানা গিয়েছে, ধৃত চতুর্থ জঙ্গি জাহাঙ্গির আহমেদ মূলত ভারতে জইশের হয়ে জঙ্গি নিয়োগের দায়িত্বে ছিল।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দেশের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি স্থানে বড়সড় নাশকতার ছক কষেছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলো। সেজন্য আগে থেকেই বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা। সজাগ করা হয়েছে বিভিন্ন শহরের পুলিস থেকে নিরাপত্তায় নিযুক্ত সংস্থাগুলোকেও।