লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ভুয়ো ফর্ম বিলি ঘিরে জোর শোরগোল! বেনিয়মের অভিযোগের তদন্ত চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের বিডিও-র! যা নিয়ে জোর হইচই এবং রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে নন্দকুমারে।
দুয়ারে সরকার শিবির ছাড়া কোথাও লক্ষ্মীর ভান্ডারের ফর্ম দেওয়া বা জমা নেওয়া যাবে না বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছেন।
জানা গিয়েছে, নন্দকুমার ব্লকের শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগডোবা জলপাই হাইস্কুলে দুয়ারে সরকার শিবির হয়। সেখানে বেশ কয়েকজন মহিলা আগে থেকে পাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের স্ট্যাম্প লাগানো লক্ষ্মীর ভান্ডার ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে যান। ক্যাম্পে থাকা সরকারি কর্মীরা ওই ফর্ম নিতে অস্বীকার করলে গন্ডগোল শুরু হয়। শুরু হয় আবেদনকারীদের সঙ্গে কর্মীদের বচসা। ঘটনাস্থলে বিডিও গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। একই সঙ্গে “ভুয়ো” ফর্ম কারা বিলি করেছে তা খতিয়ে দেখার জন্য নন্দকুমার থানায় তিনি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন বিডিও।
কিন্তু নন্দকুমার ব্লকের শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের স্ট্যাম্প লাগানো ফর্ম গোপনেই বিলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে শাসকদল তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধেই। যা নিয়ে নন্দকুমার ব্লকের বিডিও শানু বক্সী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। যা নিয়ে বিজেপি এবং তৃণমূল নেতাদের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে।
গ্রাম পঞ্চায়েতের স্ট্যাম্প লাগানো ফর্ম দেওয়া হয়েছে কেন? এই প্রশ্নে মুখে কুলুপ গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মকর্তাদের। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান লক্ষ্মীকান্ত জানার দায় এড়িয়ে বলেন, ‘আমি যায়নি ক্যাম্পে, তাই কি হয়েছে খোঁজ না নিয়ে বলতে পারবো না। এদিকে শাসকদল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ওঠা এ ধরনের অভিযোগ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। যদিও তাদেরও পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃনমুলও!’