আজ মনকিবাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মধু চাষীদের কথা বলেন। পাশাপাশি সুন্দরবন-এর প্রাকৃতিক মধুর কথা উল্লেখ করেন। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর সুন্দরবন। সুন্দরবন জঙ্গলে মেলে প্রচুর মধু। বছরের পর বছর ধরে সুন্দরবনে বসবাসকারী আদিবাসী-রা জঙ্গলে গিয়ে মধু সংগ্রহ করেন।
পাথরপ্রতিমা, কুলতলি, গোসাবার আদিবাসীরা নৌকা নিয়ে গভীর জঙ্গল-এ চলে যায়। মার্চের শুরু থেকে জুন মাস পর্যন্ত মধু সংগ্রহের সময়। কারণ এই সময় জঙ্গলে ফুল ফোটে। সেই ফুলের মধু খেতে চলে আসে মৌমাছি-র দল। তৈরী হয় বড় মৌচাক। তখন দশ থেকে বারোজনের দল জঙ্গলে যায়। সপ্তাহ খানেক ধরে মধু সংগ্রহের পর বনদপ্তরের কাছে বিক্রি করে দেন। বর্তমানে কিলো প্রতি দুশো টাকা দাম দেয় বনদপ্তর।
কিন্তু বাঘের ডেরায় ঢুকে মধু সংগ্রহ রীতিমত আশঙ্কার। অনেকের জীবনও গিয়েছে বাঘের হামলায়। অনেকে আবার জীবন নিয়ে ফিরলেও কর্মহীন হয়ে পড়েন। নদীর বাঁধে বসবাস এই আদিবাসী পরিবারগুলির প্রতিবছর ঝড়ে উড়ে যায় ঘরের ছাউনি। মধু সংগ্রাহকরা বেশী দাম চাইছেন।