পিসি নিউজ বাংলা:- Nabanna হিসেব মতো রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ৩১% ডিএ মেটাতে সরকারকে খরচ করতে হবে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা। কিন্ত বর্তমানে কোষাগারের যা হাল, তাতে বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা মেটানো প্রায় অসম্ভব। এমনটাই মত সরকারি মহলের। এদিকে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য কলকাতা হাই কোর্টের নির্ধারিত সময়সীমা যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে নবান্নের চিন্তা। কারণ, বেঁধে দেওয়া সময় না-মানলে আদালত অবমাননার মামলার আশঙ্কা আছে। এই পরিস্থিতিতে ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকার ঠিক কী ধরনের পদক্ষেপ করতে চলেছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত তা স্পষ্ট না-হলেও কর্মচারী মহলে গুঞ্জন চলছে, তৃণমূল সরকার এই ব্যাপারে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে। কোনও একটা মধ্যবর্তী পন্থার খোঁজার চেষ্টায় করছে নবান্ন।
অন্যতম মামলাকারী সংগঠন কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ় অবশ্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করার লিখিত বার্তা দিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং অর্থসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি দিয়েছে কনফেডারেশন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, “কর্মচারীরা তো সরকারের বাইরে নয়। সরকার ইতিবাচক মনোভাব রাখলে কর্মচারীরাও খোলা মনে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ।” উল্লেখ্য, হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ১৯ আগস্টের মধ্যে রাজ্য সরকারকে ডিএ নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। অন্যদিকে কয়েকটি সম্ভাব্য রাস্তার কথা বলেছে প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। প্রথমত, হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া। এ ক্ষেত্রে কনফেডারেশন আগে থেকেই সুপ্রিম কোর্টে ‘ক্যাভিয়েট’ দাখিল করে রেখেছে। দ্বিতীয়ত, কিস্তিতে ডিএ মেটানোর ভাবনাচিন্তা করা। তৃতীয়ত, অবসরপ্রাপ্তদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিয়ে কর্মরতদের প্রাপ্য অর্থ দেওয়া যেতে পারে তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে।
Nabanna এগিয়ে আসছে হাই কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়, ডিএ নিয়ে কী পরিকল্পনা নবান্নর?
বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন, শুক্রবার রামনাথ কোবিন্দকে বিদায় জানাবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সমস্যা সমাধানের জন্য সব দিক নিয়েই আলোচনা চলছে। আইনি পরামর্শও চলছে। আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, রাজ্য সরকার ১৯ আগস্টের মধ্যে বকেয়া ডিএ মেটানোর ব্যাপারে নিজেদের সিদ্ধান্ত না-জানালে কর্মী সংগঠনগুলি আদালত অবমাননার দায়ে মামলা করার পথে হাঁটতে পারে। এরফলে সরকারকে আরও বেশি বিড়ম্বনার মুখে পড় হতে পারে। সূত্রের খবর, ডিএ সংক্রান্ত মামলায় আদালতের রায় পুরোপুরি গিয়েছে কর্মচারীদের পক্ষে। তাই মধ্যবর্তী পথের সন্ধান করতে হচ্ছে রাজ্যের অর্থ প্রশাসনকে।