P C News Bangla : অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা ও খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানকে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। বৃহস্পতিবার প্রয়াত হলেন তিনি। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে চিরাগ পাসোয়ান ট্যুইট করে সেই খবর দেন। চিরাগ লেখেন, ‘পাপা, তুমি আর এই পৃথিবীতে নেই। কিন্তু আমি জানি, চিরকাল তুমি আমার পাশেই থাকবে। তোমার অভাব সবসময় আমার অনুভূত হবে।’
দীর্ঘ পাঁচ দশকের রাজনৈতিক জীবন। লোক জনশক্তি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা তিনি। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি হওয়ার পর একাধিক ট্যুইটে নিজেই নিজের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়েছিলেন। ট্যুইটে লিখেছিলেন, ‘চিরাগ বলল আমার হাসপাতালে যাওয়া উচিত, তাই গিয়েছিলাম। আমার চিকিত্সা চলছে আর এই মুহূর্তে চিরাগ আমার পাশে থাকায় আমি খুশি।’ কিন্তু কয়েকদিন পরেই ছেলে চিরাগকে ছেড়ে অন্য দুনিয়ায় পাড়ি দিলেন তিনি।
কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারের উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন রামবিলাস। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। অবশ্য অনেকদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন বিহার রাজনীতির প্রভাবশালী রামবিলাস। গত শনিবার থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। রবিবার ভোরে তাঁর হৃদপিণ্ডে অস্ত্রোপচার হয়। ছেলে চিরাগ জানিয়েছিলেন, আরও একবার হার্টে অপারেশন হবে তাঁর। কিন্তু সেই সময় আর দিলেন না রামবিলাস।
I am saddened beyond words. There is a void in our nation that will perhaps never be filled. Shri Ram Vilas Paswan Ji’s demise is a personal loss. I have lost a friend, valued colleague and someone who was extremely passionate to ensure every poor person leads a life of dignity. pic.twitter.com/2UUuPBjBrj
— Narendra Modi (@narendramodi) October 8, 2020
বিহারের খাগাড়িয়ায় জন্ম। অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় রাজনীতির চেনামুখ হয়ে ওঠা তাঁর। ১৯৬৯ সালে সংযুক্ত সোশালিস্ট পার্টির হয়ে প্রথম বার বিহার বিধানসভার ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। জিততে কোনও অসুবিধাই হয়নি তাঁর। তবে, জরুরি অবস্থার সময় জয়প্রকাশ নারায়ণের অনুগত হিসেবে তাঁকে আলাদা পরিচয় দেয়। দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন তিনি। পরে মোরাজি দেশাইয়ের হাত ধরে যোগ দেন লোক দলে। শেষমেশ ২০০০ সালে জনতা দল থেকে ভেঙে বেরিয়ে লোক জনশক্তি পার্টি তৈরি করেন তিনি। তাঁকে বলা হত, রাজনীতির হাওয়া মোড়গ। রাজনীতির হাওয়া তাঁর মতো বুঝতে পারতেন, এমন নেতা খুবই কম রয়েছে ভারতীয় রাজনীতিতে।
এদিন তাঁর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন, ‘রামবিলাস পাসোয়ান জি’র চলে যাওয়া আমার ব্যক্তিগত ক্ষতি। আমি একজন বন্ধুকে হারালাম। গুরুত্বপূর্ণ একজন সহকর্মী, গরিবদের জন্যে সবসময় ভাবা একজন মানুষ চলে গেলেন।’ সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি লেখেন, ‘আমার বন্ধু রামবিলাস পাসোয়ানের প্রয়াণে আমি মর্মাহত। ভারতীয় রাজনীতিতে তাঁর মতো ব্যক্তি খুব কমই এসেছেন। তাঁর পরিবারকে আমার সমবেদনা।’