প্রাথমিক শিক্ষক পদের নিয়োগে গাফিলতি ফের প্রকাশ্যে। প্রাথমিক নিয়োগে পার্শ্বশিক্ষক কোটায় গাফিলতি স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে আদালতে। নিয়ম ভেঙে উচ্চ-প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয়েছে। হাইকোর্টে গাফিলতি স্বীকার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের।
তিনি জানান, ভুল করে পার্শ্বশিক্ষক কোটায় নিয়োগ হয়ে গিয়েছে। তবে নিযুক্ত হওয়া শিক্ষকরা কেউই অযোগ্য নন। নদিয়ায় ৩ জন ও বীরভূমে ২ জনকে এইভাবে নিয়োগ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এই নিয়োগের বিরুদ্ধে মামলা হয় হাইকোর্টে।
নিয়ম অনুযায়ী উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষকদের প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার কথা নয়। প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষকরা পাবেন প্রাথমিকে নিয়োগ। প্রাথমিকে নিয়োগের ১০% বরাদ্দ পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য। এই কোটায় নিয়োগ পেয়ে গিয়েছেন উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষকরা। অভিযোগে ফের হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্য প্রাথমিক পর্ষদ।
বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, সব জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ থেকে এমন ভাবে কতজনকে নিয়োগ করা হয়েছে, সেই তথ্য রিপোর্ট দিতে হবে পর্ষদকে। আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে হাইকোর্টকে। ৮ অক্টোবর পরবর্তী শুনানি। এর আগেই এই মামলায় হাইকোর্ট হুশিয়ারি দিয়েছিল, যদি এমন নিয়োগ হয়ে থাকে তাহলে চাকরি যাবে ভুলভাবে নিযুক্ত হওয়াদের। এই হুঁশিয়ারির পরেই সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা সংসদ আগ বাড়িয়ে তাদের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে।
বেতন বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এদিন ওই পাঁচজনের তরফে অভিযোগ জানান হয় আদালতে। বেতন বন্ধ হওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের আইনজীবী সুনীত কুমার রায় জানান, বুধবার আদালত স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশে কোথাও বেতন বন্ধ করার কথা বলা হয়নি। মামলাকারীদের আইনজীবী শৌভিক প্রামাণিক জানান, উচ্চ প্রাথমিক ৫ জন পার্শ্ব শিক্ষকদের নিযুক্ত করা হলে বাকিদের ক্ষেত্রে বঞ্চনা কেন হবে।