পিসি নিউজ বাংলা : শুধুমাত্র ইচ্ছা শক্তির উপর ভর করে মানুষ অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন। এর জন্য অন্য কারও সাহায্যের প্রয়োজন হয় না। এমনটাই করে দেখালেন কেনটন কুল। অন্যের সাহায্য ছাড়া আর কোনওদিন হাঁটতে পারবেন না। এমনটাই ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ করেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু একবার নয় দু’বার নয়, ১৬ বার বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গে আরোহন করে চিকিৎসকদের ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ ভুল প্রমাণ করেছেন কেনটন কুল।
জানা যায়, কেনটন কুল একজন ব্রিটিশ পর্বতারোহী। নেপালি মানুষ ছাড়া তিনিই প্রথম ব্রিটিশ নাগরিক যিনি ১৬ বার সফলভাবে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করে রেকর্ড গড়েছেন। তবে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণের লক্ষ্যে পৌঁছতে গিয়ে পর্বতারোহীরা হাজারো ঝুঁকি ও বিপত্তির সম্মুখীন হন। শুধু তাই নয়, এই কৃতিত্ব অর্জন করতে গিয়ে অনেকে প্রাণও হারান। কিন্ত নিজের অক্ষমতাকে দূরে সরিয়ে সব বাধা বিপত্তিকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন ৪৮ বছর বয়সী কেনটন। পৌঁছে গিয়েছেন মাউন্ট এভারেস্টের শিখর। শুধুমাত্র যে নেপালিরাই মাউন্ট এভারেস্টকে জয় করতে পারে সেই মিথও ভেঙে দিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, কেনটনের যখন মাত্র ২২ বছর বয়স, তখন রক ক্লাইম্বিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েন তিনি। সেই সময় চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন আর কখনই অন্যের সাহায্য ছাড়া তিনি হাঁটতে পারবেন না। কিন্তু হৃরতে নাড়াচ্ছে কেনটন। তাই শুরু হয় একাধিক অস্ত্রোপচার এবং থেরাপি। এরপর ধীরে ধীরে নিজেকে প্রস্তুত করেন তিনি। অবশেষে দীর্ঘ চেষ্টার পর তার স্বপ্ন সার্থক হয়। চিকিৎসকদের ভবিষ্যদ্বাণীকে অস্বীকার করে মাউন্ট এভারেস্টের শিখর ছুঁয়েছেন। যদিও হাঁটুতে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা অনুভব করেন। কিন্ত ১৬ বার মাউন্ট এভারেস্ট আরোহণকারী প্রথম ব্রিটিশ হিসাবে নিজের নতুন পরিচয় তৈরি করেছেন এই পর্বতপ্রেমী। কেনটন কুল হলেন প্রথম ব্রিটিশ গাইড, যিনি একজন আরোহীকে বিশ্বের দ্বিতীয়-সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ K2-এর চূড়ায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।