বীরভূমের রামপুরহাট থানার কবিচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা অমর কুমার মণ্ডল। তিনি তারাপীঠের মন্দিরে প্যারা বিক্রি করেন। গত ১৫ মে অমর কুমার মন্ডল এবং তার মা ও স্ত্রী তিনজনে বালিয়া গ্রামের উপ–স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেন।
কয়েকদিন আগে টীকার শংসাপত্র প্রিন্ট করতে সাইবার ক্যাফে যান তিনি। তারপর সেখানে গিয়ে যা দেখেন সেটা দেখে অমর রীতিমত হতভম্ব। তিনি বলেন, ‘প্রথম টিকা নেওয়ার সময়ই আমার মোবাইলে চারটি মেসেজ ঢুকেছিল। প্রয়োজন না থাকায় সে সময় শংসাপত্র প্রিন্ট করাইনি। ১৫ মে দ্বিতীয় টিকা নিয়েছিলাম আমরা তিনজন। এরপর শংসাপত্র প্রিন্ট করতে গিয়ে দেখি আমার ও স্ত্রীয়ের দুটি ডোজের শংসাপত্র থাকলেও মায়ের রয়েছে শুধু প্রথমটি। কিন্তু আশ্চর্যের যে ১৪ বছর আগে মারা যাওয়া আমার বাবার টিকা নেওয়ার শংসাপত্রও বেরিয়ে আসে। ২০০৭ সালে আমার বাবা মারা গেছেন, তাহলে তাঁকে টিকা কে দিলো? বাবা কি স্বর্গে টিকা নিয়েছেন।’
অমর কুমার মন্ডলের বাবা ১৪ বছর আগে মারা গেছেন । ছেলে অমর কুমার মণ্ডল নিজের টিকা সার্টিফিকেট বের করতে গেলে বেরিয়ে আসে ২০০৭ সালে মারা যাওয়া বাবার টিকা নেওয়ার শংসাপত্র! অথচ দুটি ডোজ নেওয়ার পরেও জীবিত মায়ের শংসাপত্র মেলেনি সরকারি ওয়েবসাইটে। কিন্তু এদিকে বাবার শংসাপত্র বার হয়ে এসেছে।
এই ঘটনার প্রসঙ্গে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, ‘ঘটনার কথা কানে এসেছে। প্রযুক্তিগত কোনো ত্রুটির কারণে এটা হতে পারে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’