Wednesday, April 24, 2024
spot_img
spot_img
Homeপশ্চিমবঙ্গস্বাস্থ‍্য সাথী কার্ড নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠল নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে:-

স্বাস্থ‍্য সাথী কার্ড নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠল নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে:-

করোনার টিকা নিয়ে প্রতারণার পর এবার স্বাস্থ‍্যসাথী কার্ড নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে কয়েকটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে । স্বাস্থ্য শিবিরের নাম করে বা দালাল লাগিয়ে সুস্থ মানুষদের বুঝিয়ে সুজিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছিল নার্সিংহোমে। তারপর দশ দিনের মত রেখে দেওয়আ হচ্ছিল, এবং দশ দিনের বিল সুস্থ রোগীর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছিল। প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকার বিল। এই ছকেই রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের টাকা হাতানোর ফন্দি এঁটেছিল  বিভিন্ন জেলার নার্সিংহোম, বেশ ভালো রোজগারও হচ্ছিল।

সাধারণ ব‍্যথায় কে হাসপাতালে বা নার্সিংহোমে যেতে চায়। কিন্তু যেতে হত তাদের। নার্সিংহোমে ভর্তির টোপ হিসাবে যা করা হত তা হল ১০ দিনের বেশি নার্সিংহোমে থাকলেই নগদ ১০ হাজার টাকা গুঁজেও দেওয়া হচ্ছিল উপভোক্তার হাতে। তবে এখানেই শেষ নয়, নার্সিংহোম থেকে ফ্রিতে যাতায়াতের খরচ, হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সময় বিনামূল্যে এক সপ্তাহের ওষুধ। শারীরিক অবস্থা খারাপ না থাকলেও এই টোপে ভর্তি হয়ে যাচ্ছিলেন অনেকে। চিকিৎসার নামে কার্ডের সমস্ত টাকা চলে যাচ্ছিল নার্সিংহোমের কাছে।

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে অনিয়মের এই অভিযোগ উঠেছে। সব জায়গায় মানুষকে ভুল বুঝিয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি করে এই প্রকল্প থেকে টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ের মানিকদীপা গ্রামের একজনের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে স্বাস্থ্য দফতর। তারপর তিনটি নার্সিংহোমকে শো-কজ় করে অনির্দিষ্ট কালের জন্য রোগী ভর্তি বন্ধ করে দিয়েছে।

এক স্বাস্থ্যকর্তা জানান, “কোনও চিকিৎসা না-করে যদি স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প থেকে ৭০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া যায়, তা হলে তার থেকে ১০ হাজার টাকা উপভোক্তাকে দিলেও লাভ নার্সিংহোমেরই। এটা জানাজানি হলে আরও বেশি লোক টাকার লোভে রোগ না-থাকলেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ভর্তি হতে চাইবেন। নার্সিংহোমগুলি স্বাস্থ্যসাথীর প্রচুর রোগী পাবে।’’

রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘যাতায়াতের খরচ দিয়ে, এমনকি গাড়ি পাঠিয়ে গ্রামের লোকেদের নার্সিংহোমে এনে ভর্তি করেছে। সামান্য গায়ে ব্যথা বা জ্বরে ৮-১০ দিন করে তাঁদের নার্সিংহোমে রেখে ৭০-৭৫ হাজার টাকার বিল করেছে। অনেককে নার্সিংহোমে আসার জন্য টাকাও দিয়েছে।’’

অভিযুক্তদের মধ‍্যে সোনামুখীর বিজয়কৃষ্ণ নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ বলেন, ‘‘আমাদের কেন শো-কজ় করা হয়েছে, সেই বিষয়ে কিছু বলব না।’’

অভিযুক্তদের মধ্যে ওন্দা এলাকার আনন্দময়ী নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ বলছেন, ‘‘কারা নাকি অভিযোগ করেছেন যে, আমরা নার্সিংহোমে ভর্তি থাকার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছি! কিন্তু এর তো কোনও প্রমাণ নেই। কেউ তো বাচ্চা নন যে, তাঁদের ভুল বুঝিয়ে বা জোর করে অথবা টাকা দিয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি করাব। আমরা শো-কজ়ের উত্তরে এটাই জানিয়েছি।’’

সোনামুখীর গ্লোকাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কথায়, ‘‘আমরা পঞ্চায়েতকে জানিয়ে ক্যাম্প করে কিছু রোগী এনেছিলাম। তাঁদের প্রকৃত শারীরিক সমস্যা ছিল। তবে আমরা ক্যাম্পের জন্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তার অনুমতি নিইনি। এ বার থেকে তা নেব।’’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments