চেতনা বদলাচ্ছে। চেতনার বদল হোক এমনটা চাইছেও রেলে। তাই আজ স্বাধীনতা দিবসের দিন নয়া চেতনা চালু করে দিল ভারতীয় রেল। স্বাধীনতা দিবসের দিন শিয়ালদহ ডিভিশন চালু করে দিল নয়া চেতনা রেল। স্পেশ্যাল ট্রেন ও ব্রেকডাউন কার হিসাবেই চলবে এই চেতনা স্পেশ্যাল।করোনা আবহে বন্ধ ট্রেন চলাচল। চলছে না লোকাল ট্রেন। যা চলছে তা আসলে স্পেশ্যাল ট্রেন। সেই ট্রেনে চড়ার অনুমতি সকলের নেই। বিশেষ অনুমতি নিয়েই চড়তে হচ্ছে সেই ট্রেনে।
কিন্তু রেলের অভিযোগ স্পেশ্যাল ট্রেনেও অনেকে টিকিট ফাঁকি দিচ্ছেন। অনেকে আবার ট্রেনে চড়ার অনুমতি না থাকলেও উঠে পড়ছেন সেই ট্রেনে। এবার তাদের ধরতে এই স্পেশ্যাল চেতনা অভিযান চলছে।
শিয়ালদহ ডিভিশন তৈরি করেছে সেই স্পেশ্যাল চেতনা ট্রেন। জাতীয় পতাকার রঙে সজ্জিত হয়েছে চেতনার কামরা। গেরুয়া, সাদা, সবুজ রঙের সমারোহ রয়েছে গোটা কামরা জুড়ে। তবে শুধু টিকিট ফাঁকি দিচ্ছেন এমন ব্যক্তিদের জন্যে নয়। কোথাও কোনও ট্রেন অপারেশনে সমস্যা হলেও ব্রেক ডাউন কার হিসাবে ছুটে যাবে এই চেতনা স্পেশ্যাল।
চেতনার কামরার ভিতরে রয়েছে বিপ্লবী এবং মনীষীদের ছবি। তবে এই ট্রেন শুধু টিকিট চেকিংয়ের জন্য নয়, এর সঙ্গে থাকছে ব্রেকডাউন কার-ও। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানান, এটি শিয়ালদহ ডিভিশনের একটি অভিনব ভাবনা। দেশের কোথাও এমন ব্যবস্থা এখনও চালু হয়নি। টিকিট চেকিং হবে, লাইনে কোথাও ব্রেকডাউন হলে তা সারানোর সব বন্দোবস্ত থাকছে এই ট্রেনে। ব্যাটারি এবং ইলেকট্রিক দু’টি উপায়েই চলবে এই ট্রেন।বিনা টিকিটে কোভিড পূর্ববর্তী সময়ে যারা যাতায়াত করতেন ট্রেনে চড়ে তাদের জন্যে ত্রাস ছিল এই চেতনা স্পেশাল। এখন অবশ্য অতটা কড়াকড়ি নেই। কারণ ট্রেন চলাচল অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত হয়ে আছে। আগামী ১৫ দিন লোকাল ট্রেন চলবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু যাদের রেলে চড়ার অনুমতি আছে। তা বাদ দিয়েও যারা রেলে চড়ছেন অন্যায় ভাবে তাদের জন্যেই নয়া রুপে হাজির চেতনা স্পেশাল।