করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায়, সেই যে বন্ধ হয়েছে এখনো গড়ায়নি সে চাকা। এর জন্য অসুবিধায় পড়েছে সমাজের দিন আনা দিন খাওয়া শ্রেণি। শহরতলির সঙ্গে কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পুরো। এর কারণে কত মানুষের রুজি রুটির যোগার প্রায় বন্ধ। করুণ পরিস্থিতির মধ্যেও রেলের কোষাগারের অর্থ ভর্তি। সূত্রের খবর, স্টাফ স্পেশালে অবৈধ যাত্রার অভিযোগে পূর্ব রেল প্রায় দেড় কোটি টাকার বেশি জরিমানা আদায় করেছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত মে মাস থেকেই রাজ্যে বন্ধ রয়েছে রেল। শুধুমাত্র স্টাফ স্পেশাল লোকাল চালাচ্ছিল পূর্ব রেল। সকালে এবং বিকালে মিলে হাতে গোনা কয়েকটি স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালানো হতো। স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মী, পুরসভা কর্মী, ব্যাঙ্ক কর্মীদেরও যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হয় রেলের পক্ষ থেকে। কিন্তু শর্ত ছিল একটাই পর্যাপ্ত নথি নিয়ে যাত্রা করতে হবে। যাদের কাছে যাত্রা করার জন্য পর্যাপ্ত বৈধ নথি ছিল না, তাদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়।
গত জুন মাসে জরিমানার অঙ্কটা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬৯ লক্ষে। একমাসে জরিমানা আদায় করা হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার যাত্রীদের থেকে। এই সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত ‘অমানবিক’ বলেই অ্যাখ্যা দিচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা। যে সময় সমাজের বেশিরভাগ স্তরের মানুষ অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন সেই সময় রেল কী করে এমন অমানবিক কাজ করতে পারে, বহু মানুষকেই বৈধ নথি ছাড়াই স্টাফ স্পেশালে হাওড়া-শিয়ালদহে আসতে হচ্ছে এর জন্য জরিমানা নিয়ে সাধারণ মানুষকে আরো বিপদের মুখে কী ফেলছে রেল? নিত্যযাত্রীদের একটা বড় অংশ এই প্রশ্নই তুলতে শুরু করেছেন ।