পিসি নিউজ বাংলা : গোরু পাচারকাণ্ডে শেষমেশ বৃহস্পতিবার সিবিআই-এর মুখোমুখি হতে রওনা দিলেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এর আগে বহুবার এই মামলায় জেরার জন্য নিজাম প্যালেসে তাঁকে তলব করা হয়েছিল। কিন্ত অসুস্থতার জন্য কেষ্ট সে ডাকে সাড়া দেননি।
জানা যায়, এদিন সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে নিজাম প্যালেসে পৌঁছোন বীরভূমে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সাড়ে দশটার মধ্যে আসার কথা ছিল। তবে সময়ের আগেই তিনি পৌঁছে যান। সহায়কদের হাত ধরে নিজাম প্যালেসের সিঁড়ি বেয়ে ওঠেন তিনি।
এর আগে গত ৬ এপ্লিল নিজাম প্যালেসের উদ্দেশ্যে রওনা হলেও যাওয়া হয়নি তাঁর। সকাল সকাল সিবিআই দফতরের উদ্দেশে রওনা দিলেও পথে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে ভর্তি হন অনুব্রত। অসুস্থতার কারণে এর পরও বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যেতে হয়েছে তাঁকে। তাই সিবিআইকে জানিয়েছিলেন ২১ মে এর পর তিনি সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হতে পারেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে নিউটাউনের ফ্ল্যাটেই বিশ্রামে ছিলেন অনুব্রত।
এদিন তিনি তিনি চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে রওয়ান দিয়েছেন সিবিআই দফতরের উদ্দেশে। উল্লেখ্য, গোরু পাচারকাণ্ড, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আগেও অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করেছে সিবিআই। গত ৬ এপ্রিল গোরু পাচার মামলায় তলব পাওয়া পরের দিনই তিনি কলকাতায় এসে পৌঁছন।
ওইদিনও চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরের দিকে যাওয়ার পথেই অসুস্থ বোধ করেন তিনি। এরপর গাড়ির পথ বদল করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে। বেশ কিছুদিন সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। অন্ডকোষে জল জমা-সহ একাধিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। কিছুদিন পরে ফের ফ্ল্যাটে ফিরে যান।
হাসপাতাল থেকে মুক্তি হওয়ার পরেও তাঁকে হাজিরার জন্য তলব করে সিবিআই। কিন্তু, সেই সময় তাঁর আইনজীবী চিঠি দিয়ে জানান, অসুস্থতার কারণে তাঁর পক্ষে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। এরপর সিবিআইয়ের কাছে থেকে চার সপ্তাহ সময় চেয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই সিবিআই দফতরে পৌঁছে গিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। সাত পাতার প্রশ্নপত্র নিয়ে অনুব্রতকে জিঞ্জাসাবাদ করে সিবিআই। প্রথম দফায় ২ ঘন্টা জেরার পর আবারও জিঞ্জাসাবাদ করা হয়। ৪ ঘণ্টা জেরার পর নিজাম প্যালেস ছাড়েন অনুব্রত। অতীতে ছয় বার হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।
এদিকে হাজিরা এড়াতেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই সময় এমনই দাবি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সুর চড়িয়েছিলেন বিজেপি-র অন্যান্য নেতারাও।