পিসি নিউজ বাংলা : অধিকাংশ মহিলারা নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি একেবারেই উদাসীন থাকেন। যদিও পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যার্টাকের ঘটনা তুলনায় কম। তবে মেনোপজের পর মহিলাদের মধ্যে বাড়ে হৃদরোগের প্রবণতা। এছাড়াও ডায়াবিটিস বা উচ্চরক্তচাপের জন্য আজকাল মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে হৃদরোগের প্রবণতা। সাধারণত প্রায় সব মহিলাকেই নিয়মিত সাংসারিক নানান কাজ করতে হয়। এছাড়াও থাকে অফিসের চাপ। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ি আর অফিস এতসঙ্গে সামলাতে গিয়ে তাঁরা শরীরচর্চা করার ফুরসত পান না। তাই কাজের মাঝেও সময় বার করে নিয়মিত অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করা প্রত্যেকেরই উচিত। কারণ, এখান থেকেও আসে হৃদরোগের সম্ভাবনা।
হার্টের সমস্যার ক্ষেত্রে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা কিন্তু খুবই জরুরি। সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর অনেক মহিলার ওজন বেড়ে যায়। সেই বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলার জন্য তাঁদের অধিকাংশের মধ্যে সচেতনতার যথেষ্ট অভাব আজও রয়েছে। ফলে এই স্থূলতা কিন্তু হার্টের সমস্যার নেপথ্যে থাকে।
মহিলারা সাধারণত পুরুষদের তুলনায় পরিশ্রম অনেকটাই বেশি করেন। কিন্তু কম ঘুমোন। প্রতিদিন আমাদের সকলেরই অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। কিন্তু কাজের চাপের জন্য বেশিরভাগ মহিলাই ৫-৬ ঘণ্টার বেশি ঘুমনোর সময় পান না। এতে শরীর ভিতর থেকে ভেঙে পড়ে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ে মেয়েদের মধ্যে চূড়ান্ত উদাসীনতা দেখা যায়। সমস্যা চরমে পৌঁছলে সুস্থ হতে রীতিমতো বেগ পেতে হয়। এছাড়ও বুকে ব্যথা বা বমির মতো সমস্যা থাকলে তা এড়িয়ে না গিয়ে বরং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। হয়তো কোনও বড়োসড়ো দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে।