৭২তম সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আজ দেশজুড়ে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মূল অনুষ্ঠানটি হয়েছে দিল্লীর রাজপথে।
জনস্বার্থে প্রচারিত
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সেখানে কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন। তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতীয় যুদ্ধ স্মারকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
সাধারণতন্ত্র দিবসে ভারতের সামরিক শক্তি, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। তবে কোভিডের কারণে এবছরের অনুষ্ঠান অন্যান্য বারের তুলনায় কিছুটা আলাদা। কুচকাওয়াজের পথ ছিল সংক্ষিপ্ত।
বিজয়চকে শুরু হয়ে এই কুচকাওয়াজ লালকেল্লার পরিবর্তে জাতীয় স্টেডিয়ামে শেষ হয়। এবার দর্শক সংখ্যাও ছিল কম। মাত্র ২৫ হাজার দর্শক এই কুচকাওয়াজ দেখতে পেরেছেন। ১৫ বছরের নিচে এবং প্রবীণ নাগরিকরা এবার উপস্থিত ছিলেন না।
বিদেশ থেকে কোনো প্রধান অতিথি কুচকাওয়াজে উপস্থিত ছিলেন না। বিভিন্ন রাজ্য, মন্ত্রক ও দপ্তরের ৩২টি ট্যাবলো সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছিলো। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো, আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের ট্যাবলো।
১৭টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল, ৯টি বিভিন্ন মন্ত্রক ও আধাসামরিক বাহিনী এবং ৬টি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ট্যাবলো ছাড়াও ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ কারী সশস্ত্রবাহিনীর কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
ভারত-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেই সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এবারের সাধারণতন্ত্র দিবসে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী অংশ নিয়েছে। রাফাল বিমানের উড়ান প্রদর্শনী দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।