পাঁচ কোটি টাকার ইয়াবা ট্যাবলেটই ছিল ‘ক্লু’। সেই সূত্র ধরে তদন্ত করেই ৫০ কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (STF)। এই ঘটনায় মালদহ থেকে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এসটিএফ। এর আগেও কয়েক দফায় কলকাতা থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর হেরোইন। তবে গোয়েন্দা আধিকারিকদের মতে, একসঙ্গে ৫০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধারের ঘটনা বিরল। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার মোট ৪ জন।
পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার এটিএফের গোয়েন্দাদের কাছে খবর আসে, বন্দর এলাকায় পাচার হচ্ছে মাদক। সেইমতো ওই এলাকায় ফাঁদ পাতেন গোয়েন্দারা। মাদক পাচার হওয়ার সময় দু’জন ধরা পড়ে যায় এসটিএফের হাতে। তারা হচ্ছে মালদহের কালিয়াচকের মহম্মদ ইসমাইল শেখ ও মণিপুরের অভিষেক সালাম।
তাদের ব্যাগে তল্লাশি করতেই উদ্ধার হয় ইয়াবা ট্যাবলেট। বেশ কয়েকটি ছোট প্যাকেটে থাকা ২ কিলো ২৯১ গ্রাম ইয়াবার দাম প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। পুলিশের দাবি জেরার মুখে ধৃতরা স্বীকার করে, মায়ানমার থেকে এই মাদক পাচার হয়েছে উত্তর পূর্ব ভারতে। মালদহের মাদক পাচারকারী ইসমাইলদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় মণিপুরের পাচারকারীদের। সেইমতো ইয়াবা ট্যাবলেট অভিষেকের হাত ধরে এসে পৌঁছয় মালদহে। এই মাদক কলকাতার মাদকের এজেন্টের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল।
ইয়াবার চাহিদা বাংলাদেশে বিপুল। এই রাজ্যের কিছু জেলায়ও তার চাহিদা রয়েছে। যদিও বাংলাদেশে একেকটি ইয়াবা ট্যাবলেট ২০০ থেকে ৫০০ বাংলাদেশি টাকায় বিক্রি হয়। তাই কলকাতা থেকে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত চোরাপথে পেরিয়ে এই ইয়াবা বাংলাদেশে পাচারের ছক কষে পাচারকারীরা। পশ্চিম বন্দর থেকে ধৃত দুই মাদক পাচারকারীকে ১৪ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।