দুই দফা নির্বাচন মিটতেই মালদহের চাঁচল বিধানসভায় বিপক্ষের ঘরে বড়সড় ভাঙন ধরালো বিজেপি
মালদা:০২এপ্রিল: আট দফতার মধ্যে দু দফার নির্বাচন মিটেছে। এই নির্বাচনী আবহের মধ্যে মালদহের চাঁচলে বিপক্ষের ঘরে বড়সড় ভাঙন ধরাল বিজেপি। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের পর রাতেই চাঁচল বিধানসভার তিনটি এলাকার ৫০০টি পরিবার বিজেপিতে যোগ গিয়েছেন। এরা তৃণমূল, কংগ্রেস ও সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে। তবে ওই যোগদানে সংখ্যালঘুদের বড় অংশ বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তাকে বড় সাফল্য বলেই মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। অন্য দলগুলোর প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে বঞ্চিনার শিকার হয়েই তারা বিজেপি শিবিরে নাম লিখিয়েছেন বলে দলত্যাগীরা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে চাঁচল বিধানসভার ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হিরদানপুর ও হরিপুর এবং অলিহন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের বালিডাঙ্গা এলাকায় শিবির করে ওই দলবদলের অনুষ্ঠান হয়। হাজির ছিলেন চাঁচলের বিজেপি প্রার্থী দীপঙ্কর রাম নিজে। দলত্যাগীদের হাতে পতাকা তুলে দিয়ে তাদের বরণ করে নেন প্রার্থী। যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই সংখ্যালঘু মানুষ বলে সূত্রের খবর। হরিপুর এলাকার এমনই এক দলত্যাগী নজমুল হক বলেন, তৃণমূল দুর্নীতিগ্রস্থ।
এলাকার উন্নয়ন হয়নি! পানীয় জল নেই। ওদের ভোট দিয়ে কি হবে। তাই বিজেপিতে যোগ দিলাম। আবার বালিডাঙ্গার হরিচরণদাস বলেন, ৪০ বছর ধরে সিপিএম করতাম। বিজেপি প্রার্থী ঘরের ছেলে, কাছের মানুষ। আমার সঙ্গে ১৫০ জন আজ বিজেপিতে যোগ দিলাম। আবার হিরদানপুরের সহদেব মণ্ডল বলেন, বছরের পর বছর ঘুরেও একটা প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট পাইনি। তাই তৃণমূলকে ভোট দিয়ে কি হবে। ভোটের মুখে বিপক্ষের ভোটার, বিশেষ করে সংখ্যালঘু মানুষ এসে ঘর ভরানোয় উচ্ছ্বসিত প্রার্থী দীপঙ্কর রাম বলেন, দু দফার ভোটের পর মানুষ বুঝে গিয়েছেন যে, বিজেপি ক্ষমতায় আসছে। তাই বঞ্চনার শিকার যারা, তারা আমাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন।
আরও অনেকেই যোগ দেবেন। এছাড়া প্রার্থী বলেন, বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল হলে রাজ্যে একাধিক আসনে সংখ্যালঘু প্রার্থী দিত না। এসব সংখ্যালঘুদের ভোট দখলে রাখতে অপপ্রচার ছাড়া কিছু নয়। চাঁচল-১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি শচীদানন্দ চক্রবর্তী যোগদানের বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।তাদের বিজেপির কর্মীদের নিয়েই পতাকা ধরানো হচ্ছে।
এবং এসব ভোটের বাজার গরম করতেই নাটক করছে বিজেপি।দিদি ক্ষমতাই পুনরায় আসছে এটা নিশ্চিত।আর তৃণমূল সরকারের আমলের প্রকল্প বাংলার প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে পৌঁছেছে।কিছু মানুষ নিজের অবহেলার জন্য বঞ্চিত রয়েছে।চাঁচল বিধানসভার সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী আসিফ মেহবুব বলেন,কে বা কারা যগদান করল আমাদের কাছে খবর নেই।তবে বিজেপির অস্বতিত্ব নেই চাঁচলে।আর যতই নাটক করুন তারা চাঁচল পাবেনা।জোট থাকবে আবার।
এলাকায় এলাকায় চলছে সব রাজনৈতিক দলগুলির জনসংযোগ প্রচার আর যোগদান কর্মসূচি।তবে কে পাবে এবার চাঁচলে সাফল্য তা ২ রা মে তেই দেখা যাবে।