জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের সংখ্যালঘু বিষয়ক মানবাধিকার পরিষদের দুই বিশেষ রাপোর্টিয়ারের প্রেস বিবৃতিতে, ভারত তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, তড়িঘড়ি কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে, বিশেষ রাপোর্টিয়াররা, সংশ্লিষ্ট বিষয়টি ভালো করে বুঝবেন বলে ভারত আশা করে।
জনস্বার্থে প্রচারিত
সংখ্যালঘু বিষয়ক বিশেষ রাপোর্টিয়ার ফার্নান্দ দি ভারেনেস এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত বিশেষ রাপোর্টিয়ার আহমেদ শাহীদের ঐ বিবৃতি সম্পর্কে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শ্রী শ্রীবাস্তব বলেন, জম্মু-কাশ্মীর যে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, বিবৃতিতে তাকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। দেশের সংসদে ২০১৯-এ ৫ই আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
বিবৃতিতে সেই বিষয়টিকেও উন্মোচন করা হয়েছে। দশকের পর দশক যে বৈষম্য চলছিল, তার অবসান ঘটাতে, জেলা উন্নয়ন পরিষদ ডিডিসি-র সকল নির্বাচনের মাধ্যমে তৃণমূল স্তরের গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং সুশাসনকে গ্রামীণ কর্মসূচীর মধ্যে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া সুনিশ্চিত করার জন্য যেসব পদক্ষেপ করা হয়েছে, বিবৃতিতে তার গুরুত্ব পায়নি।
দেশের বাকি অংশে প্রযোজ্য আইন, জম্মু-কাশ্মীরেও বলবৎ করার ইতিবাচক প্রভাবকে রাষ্ট্রসংঘের দুই রাপির্টারের প্রেস বিস্মৃতিতে উপেক্ষা করা হয়েছে বলেও বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জানান।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হওয়ার পর, জম্মু-কাশ্মীরে যে জনবিন্যাসে পরিবর্তনের যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সে ব্যাপারে তিনি বলেন, বেশিরভাগ ডোমিসাইল সার্টিফিকেটই যে আগের স্থায়ী বাসিন্দা হিসাবে সার্টিফিকেটধারীরা পেয়েছেন, তা থেকেই প্রমাণ হয়, এই আশঙ্কা অমূলক।