মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার জলঙ্গি থানার দয়রামপুর গ্রামে এক অসহায় মা তার মেয়ের বিয়ের জন্য অর্থ জোগাড় করতে পারছিলেন না অবশেষে ছুটে আসে জলঙ্গি থানায়।
জনস্বার্থে প্রচারিত
সমস্ত ঘটনা শোনার পর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শ্রী উৎপল কুমার দাস ও এস আই খোরশেদ আলাম জলঙ্গী থানার পক্ষ থেকে নগদ 10 হাজার টাকা তুলে দেন সেই অসহায় মায়ের হাতে।
এনটিভি ডাবলু বি নামক একটি সংবাদমাধ্যমে জানতে পারেন এস এস হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সভাপতি শ্রী প্রতাপ চুনারী। মানবাধিকারের মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি, আন্তরিক ভালোবাসা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জলঙ্গি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক উৎপল কুমার দাস ও এসআই খোরশেদ আলম মহাশয়কে। প্রতাপ বাবু বলেন, এই ধরনের মহত্বপূর্ণ কাজ পুলিশের কাছে আশা করা যায়।
সমস্ত থানার সমস্ত পুলিশ অফিসার যদি এমন হতো, তাহলে হয়তো আমজনতার কাছে পুলিশকে এত খারাপ হয়ে থাকতে হতো না। জনসাধারণের কাছে পুলিশ মানেই ভয়, সাধারণ মানুষের কাছে পুলিশ মানেই এই হয়তো কোন বিষয়ে টাকা চাইবে। পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষ যেন বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে।
আজ এই অফিসারদের দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে আবার পুলিশের প্রতি বিশ্বাস ফিরে আসবে। পুলিশ মানেই অভিযোগ পেলে ধরে নিয়ে আসা নয়, পুলিশ মানেই লকআপে আটকিয়ে মারধর করা নয়, পুলিশ মানে সাধারণ মানুষের প্রতি বিভিন্ন রকমের দায়িত্বের বোঝা।
বেশিরভাগ পুলিশি সেই বোঝা নামিয়ে বাতাসে গা ভাসিয়ে ডিউটি পালন করেন। সাধারণ মানুষ পুলিশের কাছে সুযোগ-সুবিধা আশা করা তো দূরের কথা, পারলে সাধারণ মানুষের কাছে টাকা নেয় পুলিশ। তবে এই ধরনের মানবিক পুলিশ দেখে সাধারণ মানুষের ভয় হয়তো একটু ভাঙবে। আগামী দিনে জনসাধারণের মধ্যে একটু একটু করে পুলিশের প্রতি ভরসা ফিরে আসবে এই সমস্ত অফিসারদের কার্যকলাপের জন্য।
তবে এই ধরনের অফিসার প্রত্যেকটা থানায় থানায় একান্তই প্রয়োজন, এসএস হিউম্যান রাইটস মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির পক্ষ থেকে এই সমস্ত অফিসারদের অন্তর থেকে স্যালুট জানাই।