একজন ডি এসপি অফিসার হতে গেলে লাগে স্নাতকের যোগ্যতা। কিন্তু মাধ্যমিকে ফেল অর্থাৎ ক্লাস নাইন পাস হলেই সে হয়ে যায় ডি এস পি। এমন কথা শুনেছেন কখনো? আসলে এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
মুর্শিদাবাদের রানিতলার বাসিন্দা হলেন মাসুদ রানা। বাবা মিনাহাজউদ্দিন । পেশায় কৃষিজীবি। আর তার এক ভাই আছে। সে গাড়ির ড্রাইভার। এক বোন আছে, তার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। মাসুদ মাধ্যমিকের গন্ডি পেরোয়নি। আর সে পরিচয় দিত নিজেকে ডি এস পি অফিসার হিসাবে। তবে গ্রামের কারো কাছ থেকে সে টাকা নেয়নি। মাসুদের বাবা বলেন, ‘আমরা এ সবের কিছুই জানি না। খবর দেখে এখন জানতে পারছি।’
এবার আসা যাক ঘটনা প্রসঙ্গে,
কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল ও হোমগার্ড পদে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা চালাচ্ছিল কয়েকজন । লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখা তাদের গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম মাসুদ রানা, রবি মুর্মু, শুভ্র নাগ রায় ও পরিতোষ বর্মন। মাসুদ রানা বছর কয়েকের মধ্যেই বাড়ি, টাকা সমস্ত কিছু বেশ করে নিয়েছেন।
এই কাণ্ডে তদন্ত যত এগোচ্ছে, মূল অভিযুক্ত মাসুদ রানা সম্পর্কে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। যে মাধ্যমিকই পাশ করতে পারেনি, সে আইপিএস অফিসারের মতো আদব-কায়দা শিখল কী করে! নিজেরাই নিজেদের প্রশ্ন করছেন গোয়েন্দারা।
এই চক্রের বাকি দুজনও ভুয়ো পরিচয়ে দিন গুজরান করত। রবি নিজেদের উচ্চপদস্থ সরকারি আমলা, শুভ্র নিজেকে সংবাদমাধ্যমের উচ্চপদস্থ কর্তা বলে দাবি করত।
রবি আগে কলকাতা পুলিশে চাকরি করত। সেখানে প্রতারণায় ধরা পড়ায় বছর কয়েক আগেই তার চাকরি যায়। আর পরিতোষ চাকরিপ্রার্থীদের ধরে আনত।
মেদিনীপুর, মালদা-সহ কয়েকটা জেলায় তারা প্রতারণার জাল ছড়িয়েছিল। তারা স্কুল-কলেজের শিক্ষাকর্মীদের মাধ্যমে চাকরীপার্থীদের কাছে পৌঁছে যেত । তারপর সরাসরি তাঁদের অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরি করে দেওয়া হবে প্রতিশ্রুতি দিত।