বঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকর কমিশন মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর জানা যায়, রাজ্যের ২২টি জেলায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষ ভোটের ফল প্রকাশের পর অশান্তির শিকার হয়েছেন। খুন, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, বাড়িঘর ভাঙচুর, দোকান ভাঙচুর, হুমকি, বোমা ফেলার মতো অভিযোগ রয়েছে কমিশনের রিপোর্টে। প্রায় ১০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ আক্রান্ত। ৫৭টি অভিযোগ জমা পড়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে। সেখানে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের ‘নিষ্ক্রিয়তা’র কথাও বলা হয়েছে। পুলিশ কেন চুপ ছিল? এমনকি হিংসার ঘটনায় ‘দুষ্কৃতী’ হিসাবে নাম পাওয়া যায়, রাজ্যের মন্ত্রী-সহ তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক ও নেতা। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’ বা ‘গুন্ডা’দের তালিকায় বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, শওকত মোল্লা, খোকন দাস, প্রাক্তন বিধায়ক উদয়ন গুহ, কাউন্সিলর জীবন সাহা এবং নন্দীগ্রামের মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের মতো ওজনদার নেতারা রয়েছেন।
রাজ্যের ২৩টি জেলার মধ্যে ২২টিতেই হিংসার ঘটনার অভিযোগ উঠে এসেছে। সবথেকে বেশি হিংসার অভিযোগ দায়ের হয়েছে কোচবিহারে। জেলাওয়ারি ‘গুন্ডা’র নাম নথিভুক্ত হয়েছে কোচবিহার , পূর্ব বর্ধমান, কলকাতার চিৎপুর, যাদবপুর, মানিকতলা, উল্টোডাঙা, বীরভূম , দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর দিনাজপুরের , হুগলির , হাওড়া , মালদহ , মুর্শিদাবাদ , বসিরহাট , বারুইপুর, নদিয়া, এবং বাঁকুড়ার । পূর্ব মেদিনীপুরে অনেক হিংসার অভিযোগ উঠলেও, নন্দীগ্রাম ছাড়া অন্য এলাকা থেকে কোনও নাম নেই। কলকাতায় হিংসার রিপোর্ট দায়ের হয়েছে ১৭২টি। ১৯৬টি এবং ২০৩টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে। সবথেকে কম অভিযোগ এসেছে দার্জিলিং থেকে। পূর্ব বর্ধমান থেকে ১১৩টি অভিযোগ এসেছে।