পশুর উপর অত্যাচারের 75 হাজার টাকা জরিমানা কিংবা জেল আইন সংশোধনের ভাবনা কেন্দ্রের।
জনস্বার্থে প্রচারিত
কখনো কুকুর কিংবা ছাগলের যৌন হেনস্থা আবার কখনো তাকে নিশংস ভাবে মারধর কিংবা বিস্ফোরক ভর্তি খাবার খাইয়ে খুনের অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। এই নৃশংসতার উঠতেই এবার 60 বছরের পুরনো আইন সংশোধন করার ভাবনা কেন্দ্রের। এবার থেকে কোন পশুকে ঢিল ছুড়ে মারলে হতে পারে 75 হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা। শুধু তাই নয় হতে পারে 5 বছরের কারাদণ্ড। বর্তমানে বিভিন্ন আদালতে পশু অত্যাচার সংক্রান্ত 316 টি মামলা চলছে।
তারমধ্যে 64 টি মামলা সুপ্রিম কোর্টে। সেগুলির নিষ্পত্তির হয়নি। বিস্ফোরকভর্তি আনারস খেয়ে কেরলে অন্তঃসত্ত্বা হাতির প্রাণহানির ঘটনা ক্ষোভে ফেটে পড়েন পশুপ্রেমীরা। অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান তারা। সেই সময় 60 বছরের পুরনো দিনের দিকে নজর যায় সকলের।
তার জেরেই রাজ্যসভার সংসদ রাজিব চন্দ্রশেখর পুরনো আইন সংশোধনের প্রস্তাব দেন। সংশোধিত নতুন আইন লাগু হলে অত্যাচারের ধরন হিসেবে তিন প্রকারের শাস্তি এবং জরিপানার ভাবনা রয়েছে। অল্প আঘাত, আঘাতের ফলে আজীবনের শারীরিক ক্ষতি এবং আঘাতের ফলে মৃত্যু অত্যাচারকে এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তার ফলে জরিমানা হতে পারে 75 হাজার টাকা।
আবার প্রসূতির প্রাণহানি হলে অপরাধী হতে পারে কারাদণ্ড। কেন্দ্রের ভাবনাচিন্তা কে স্বাগত জানিয়েছেন পশুপ্রেমীরা। কেন্দ্রের এই চিন্তা ভাবনার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন এস এস ইউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সভাপতি, প্রতাপ চুনারী মহাশয়।
এ বিষয়ে প্রতাপ বাবু বলেন, এই ধরনের ব্যবস্থা না নিলে দিনের দিন এই অপরাধ বেড়েই চলেছে, নিয়ন্ত্রণ হতে দেখা যাচ্ছে না।
প্রত্যেকদিন প্রতিনিয়ত কোথাও-না-কোথাও শোনা যাচ্ছে সারমেয়দের অত্যাচারের ঘটনার কথা। হাজার প্রচার অভিযান চালিয়েও সুরাহা মিলছে না কোনো রকমে। এবার কেন্দ্রের এই আইন সংশোধনের নিয়ন্ত্রণ হবে সারমেয়েদের অত্যাচারের ঘটনা। এটা সত্যিই একটা অসাধারন চিন্তা ভাবনা কেন্দ্রের, আমি ব্যক্তিগতভাবে ও আমার সংগঠনের জেলা কমিটির পক্ষ থেকে, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মহাশয়কে সাধুবাদ জানাই। আমি চাই, এই আইন অতি শীঘ্র লাগু করা হোক এবং সরকারি বিভিন্ন প্রচার অভিযানের মধ্যেও জুড়ে দেয়া হোক সারমেয়দের সাহায্য করার কথা ও তাদের সাপোর্ট করার কথা।
কেন্দ্র সরকারের কাছে আমাদের সংগঠনের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির পক্ষ থেকে আবেদন, সারমেয়দের জন্য সরকারিভাবে খাবার ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক আমাদের দেশের প্রত্যেকটি প্রান্তে প্রান্তে। সারমেয় দের দেখভাল করার জন্য গঠন করা হোক নতুন কমিটি। শর্মা ওদের উপর অত্যাচারের কথা শুনলে পুলিশ প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিতে যেন বাধ্য হয়, সে ব্যবস্থাও করতে হবে।