Tuesday, April 16, 2024
spot_img
spot_img
Homeখবরনার্সিং ট্রেনিং এর পর মিলছে রাঁধুনির কাজ ও কুপ্রস্তাব, বিষয়গুলি পুলিশমন্ত্রীকে পাখির...

নার্সিং ট্রেনিং এর পর মিলছে রাঁধুনির কাজ ও কুপ্রস্তাব, বিষয়গুলি পুলিশমন্ত্রীকে পাখির নজরে দেখতে আবেদন, প্রতাপ চুনারীর।

নার্সিং প্রশিক্ষণের পর ছাত্রীদের চাকরির নামে পাঠানো হচ্ছিল বাজে জায়গায়।

জনস্বার্থে প্রচারিত

সেখানে রোগী তো নেই-ই বদলে কখনো মদের আড্ডায়, কখনো কুপ্রস্তাবের মুখে পড়তে হয়েছিল তাদের। বারবার এমন হেনস্থার শিকার হয়ে বিরক্ত ছাত্রছাত্রীরা, তাই ওই বেসরকারি নার্সিং প্রশিক্ষণ স্কুলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ আন্দোলনে নামলেন ছাত্রীরা।

তাদের দাবি, রোগীর সেবা করার জন্য নার্সিং এর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নার্সিংহোমে ভাল চাকরীর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তাদের। বদলে ফ্রী হিসাবে 35 হাজার টাকা করে নিয়েছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেই টাকা ফেরত দিতে হবে। বীরভূম জেলা সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাশেই ওই বেসরকারি নার্সিং প্রশিক্ষণের স্কুল। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি পেলেও প্রশিক্ষণ শেষে নার্সিংহোমে চাকরি হয়নি তাদের।

উল্টে কাজের নামে রাঁধুনি ও নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্ব দিয়ে তাদের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হচ্ছে। প্রিয়া মন্ডল নামে এক ছাত্রীকে বেসরকারি নার্সিংহোমে পাঠানো হবে বলে, বর্ধমানের মশা গ্রামে যেতে বলা হয়েছিল, সেখানে গিয়েই অদ্ভুত অভিজ্ঞতা প্রিয়ার।

প্রিয়া বলেন, যে ঠিকানায় যেতে বলা হয়েছিল সেটি আদৌ নার্সিংহোম নয়, নির্জন জায়গায় একটি দোতলা বাড়িতে চার থেকে পাঁচজন যুবক মদ্যপান করছিল, সেখানে যেতেই আমাকে কু প্রস্তাব দেওয়া হয়। রাজি না হওয়ায় অপহরণের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ প্রিয়ার।

আনন্দবাজার ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে জানতে পারেন, এস এস ইউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির কার্যকরী সদস্য, প্রতাপ চুনারী মহাশয়। প্রতাপ বাবু বলেন, এই রেকেটের দিকে পাখির চোখের মতো সূক্ষ্ম নজরে দেখতে, মেইলের মাধ্যমে আবেদন জানিয়েছি বীরভূম জেলা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে।

প্রতাপ বাবু আরো বলেন, এ ধরনের ঘটনা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে হয়। এই ধরনের রেকেটের জন্য পুলিশ মন্ত্রীকে আলাদাভাবে চিন্তাভাবনা করে, শুধুমাত্র এই ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আলাদাভাবে বোর্ড গঠন করা উচিত।

যতই দিন যাচ্ছে মহিলাদের প্রতি সুরক্ষা যেন ততই কমে যাচ্ছে। মহিলাদের প্রতি অত্যাচার দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে, কোথাও সঠিক সম্মান বা সঠিক বিচার পাচ্ছে না মহিলারা, তার ওপরে কাজ দেবো বলে নিয়ে গিয়ে দেহ বাবসা করানো এটা একটা অত্যন্ত দণ্ডনীয় অপরাধ।

পুলিশ প্রশাসন খুব ভালো করে তদন্ত করে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের জন্য সুব্যবস্থা নিতে হবে অতি সিগ্রহ এবং চারিদিকে কঠোর নজর রাখতে হবে, এই ধরনের টিমকে দমন করার জন্য প্রত্যেক রাজ্যের, প্রত্যেক জেলায় জেলায় পাখির চোখের নজরে দেখতে হবে। কোনরকম সূত্র পেলে সংগঠন তদন্ত করে পুলিশ প্রশাসনের হাতে তুলে দিতে সর্বক্ষণ প্রস্তুত এবং আমাদের সংগঠন বা অন্যান্য সংগঠনের সাহায্য নিয়ে সমস্ত অপরাধমূলক কাজের দিকে আমরা নজর রাখছি…

কোনরকম অপরাধমূলক কাজের কথা শুনালে বা চোখে পড়লেই আইনের আওতায় ফেলবো আমরা। প্রয়োজনে, এস এস হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের সর্বভারতীয় সভানেত্রী শ্রীমতি সঙ্গীতা চক্রবর্তীর সহযোগিতায়, সমস্ত দুর্নীতি যুক্ত ঘটনা আমরা দিল্লি কমিশন পর্যন্ত পৌঁছাব এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থাও রাখবো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments