মালদার চাঁচলে মনোনয়নের আগে ফের পদ্মফুলের ঘর ভরালো তৃণমূল সমর্থকরা,দাবি গেরুয়া শিবিরের
মালদা;০৪এপ্রিল: মনোনয়ন জমার আগে ফের হাত শক্ত হল বিজেপি প্রার্থীর।শাসকদলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে যুবকরা নিজের চাহিদার দাবি করলে আবেদনকারীর কাছেই চাহিদা করে বলে অভিযোগ। তাই মনোনয়নের আগেই প্রার্থীর হাত ধরে ২০ জন যুবক যোগ দিল বিজেপিতে।
এমনটাই দাবি করছে চাঁচল বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী দীপঙ্কর রাম। বিজেপি সূত্রে জানা গেছে,শনিবার রাতে যোগদান পর্বটি অনুস্ঠিত হয় চাঁচল বিধানসভার খরবা অঞ্চলের দিয়াগঞ্জ গ্রামে।
যোগদানের আগে একটি সভাও করা হয় বিজেপির তরফে।উপস্থিত ছিলেন চাঁচল বিধানসভা বিজেপির অবজারভার অয়ন রায়,বিজেপি নেতা প্রসেনজিৎ শর্মা সহ মন্ডল পদাধিকারীরা। এদিন দলত্যাগী সন্দীপ দাস অভিযোগ করে বলেন,শাসকদলের নেতাদের কাছে কোনো কিছু আবেদন করলে তারাই আমাদের কাছে চাহিদা করে।এবং গোটি বাংলায় যখন উন্নয়নের জোয়ির বইছে দিয়াগঞ্জে গ্রামের ভেতরে অন্ধকারাচ্ছন্ন।খুটিতে নেই বাতি।
মহানন্দা নদীর ধারেই গ্রামটি অবস্থিত।অন্ধকারে আতঙ্কের মধ্যে চলাফেরা করতে হয়।এছাড়াও একাধিক বঞ্চনার শিকার হচ্ছে স্থানীয়রা বলে অভিযোগ দলত্যাগীদের।তাই ভোটের আগে তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিল বলে জানিয়েছেন তারা। বিজেপি প্রার্থী দীপঙ্কর রাম বলেন,মানুষ বঞ্চনার শিকার।অনেক গ্রাম্য দুস্থ মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত।তাই বিজেপির সাথে সোনার বাংলা গড়ার উদ্যোগ নিচ্ছে চাঁচলের জনতারাই।গ্রামের আলো নেই!এছাড়াও একাধিক সমস্যা রয়েছে দিয়াগঞ্জে।তাই বিজেপির উপর আস্থা রেখে মানুষ আজ সঙ্গ দিচ্ছে।প্রার্থী বলেন,মানুষের আশির্বাদ আছে,২ রা মে আমরাই আবির খেলব।সেটা এলাকার মানুষের সমর্থনই বলছে।
ওই এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে অর্থের লোভে বলে দাবি করেছেন মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সামিউল ইসলাম।অর্থের লোভ দেখিয়ে যোগদান করাচ্ছে বিজেপি এতে কোনো লাভ হবেনা।ওই গ্রামে উন্নয়ন পৌঁছায়নি মানতে নারাজ তৃণমূল।তৃণমূল সরকারের উন্নয়ন ঘরে ঘরে পৌঁছেছে দাবি তৃণমূলের।