মেক আপ আর্টিস্ট তথা মডেল হিতেশা চন্দ্রানী খাবার অর্ডার করেছিলেন, যা আসার কথা ছিল ৩.৩০ নাগাদ। কিন্তু Zomato Delivery Man তা যথাস্থানে পৌঁছতে ১ ঘণ্টা বেশি সময় লাগিয়ে দেন। এই দীর্ঘ সময়ে চন্দ্রানী Zomato এক্সিকিউটিভের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, তিনি দাবি করেন, তাঁর খাবার ফ্রি করে দেওয়া হোক নয়ত ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
জনস্বার্থে প্রচার
Zomato Delivery Man খাবার নিয়ে পৌঁছতেই খুব অসভ্যের মতো ব্যবহার করেন, অভিযোগ চন্দ্রানীর। তাঁকে দাঁড়াতে বলেন তিনি। সেই সময় ফ্রিতে বা খাবার ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব কিনা সে বিষয়ে কথা বলছিলেন। কিন্তু ডেলিভারি বয় দাঁড়াতে রাজি হয় না এবং খাবার ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান না। এরপরই শুরু হয় বচসা, চন্দ্রানীর অভিযোগ এরপরই Zomato delivery boy ঘুসি মেরে নাক ফাটিয়ে দেন। নাক দিয়ে গল গল করে রক্ত বেরিয়ে আসে।
Zomato Delivery Man পুলিসকে জানিয়েছেন, ‘মহিলা আমায় খাবার ফেরত নিয়ে যেতে বলেন, অন্যদিকে কোম্পানি আমাকে ফোন করে বলে গ্রাহককে বোঝাতে তিনি যে খাবার Cancel করে দেন। কিন্তু, মহিলা উত্তেজিত হয়ে নোংরা কথা বলেন। কটুক্তি ভাষাও করেন, ‘দাস’ বলে কটাক্ষ করেন। তিনি ভীষণ চিৎকার করতে শুরু করেন। এরপর সজোরে চটি ছুড়ে মারেন, সেই চটির থেকে বাঁচতে হাত এগিয়ে দিই। তখন ওঁনার নিজের হাতের আংটি দিয়ে নাকে লেগে যায়’।
এ বিষয়ে এস এস হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির কার্যকরী সদস্য শ্রী প্রতাপ চুনারী বলেন, খাবার নিয়ে যেতে একটু দেরি হতেই পারে, ডেলিভারি বয়রা তো আর প্লেন বা হেলিকপ্টার করে খাবার দিতে আসে না, ওদের মোটরসাইকেল বা সাইকেল বা চার চাকায় খাবার ডেলিভারি করতে আসতে হয়।
বিভিন্ন সময়ে রাস্তার জামের জন্য, অনেক সময় নিজের শারীরিক সমস্যার জন্য একটু দেরি হতেই পারে। তাই বলে একজন মানুষকে অপমানিত করে জুতো ছুঁড়ে মারা এটা শোভা পায়না মডেল দিদির।
সে কোন কোম্পানির কর্মচারী হোক বা খাবার ডেলিভারি বয় হোক, সে একজন মানুষ, নিজে একজন মানুষ হয়ে, মানুষের সঙ্গে এ ধরনের ব্যবহারটা শিক্ষিত সমাজে একটা বড় লজ্জার ব্যাপার। তবে মডেল দিদির এই ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
আমি চাই, ডেলিভারি বয় মেরেছে না মডেল দিদি উনার নিজের আংটিতে লেগে কেটেছে এই ঘটনার পুলিশ প্রশাসন সঠিক তদন্ত করে দোষীকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেয়ার ব্যবস্থা করুক।