চুরি যাওয়া শিশুকে 31 ঘণ্টার মধ্যে খুঁজে বাবা মায়ের হাতে দিলো পুলিশ।
জনস্বার্থে প্রচারিত
এক দম্পতির দেড় মাসের ছেলেকে নিয়ে চম্পট দিয়েছিলেন প্রতিবেশী মহিলা, তারেক 30 ঘণ্টার মধ্যেই ওই শিশুকে উদ্ধার করল ক্যানিংয়ের জুটিআরি শরীফ ফাঁড়ির পুলিশ। হাতেনাতে ধরেন মূল অভিযুক্তকে, পুলিশ জানিয়েছে ধৃত পাপিয়া রাউৎ বাসরা অঞ্চলের পূর্ব পিয়ালী গ্রামে ভাড়া থাকলেও তার আসল বাড়ি উত্তর 24 পরগনা হাসনাবাদের ভান্ডারখালি এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে পূর্ব পিয়ালীর বেগমপুর দুসো কলোনি গ্রামের বাসিন্দা শুভ বন্দ্যোপাধ্যায় পেশায় কৃষক। বাড়িতে স্ত্রী সুনিতা ছাড়াও দেড় মাসের একটি ছেলে রয়েছে তার, গত আড়াই মাস আগে তার পাশের ঘরটি ভাড়া নিয়েছিলেন পাপিয়া। তিনি কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করেন, গত সোমবার স্বামী কাজে যাওয়ার পর দুপুরে সুনিতা বাড়ির উঠোনে কাজ করছিলেন, সেই সময় দেড় মাসের শিশু ঘরের মধ্যেই ছিল।
কাজ সেরে ঘরে ঢুকতেই আর শিশুকে দেখতে পাননি সুনিতা। পরে ঘুটিয়ারি শরীফ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করা হয়, পুলিশ তদন্তে নেমে উদ্ধার করে শিশুটিকে এবং বাবা মায়ের হাতে তুলে দেয় শিশুটিকে। খবর পেয়ে, এস এস হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির কার্যকরী সদস্য, প্রতাপ চুনারী মহাশয়, পুলিশ অফিসারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং প্রতাপ বাবু বলেন, এই ধরনের পুলিশ অফিসার প্রত্যেকটা থানায় থানায় প্রয়োজন।
অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে ডিউটি পালনের জন্য, উনার আগামী দিনের কর্মজীবন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে এবং অতিরক্ত বিশ্বাসী হয়ে উঠবেন জনসাধারণের কাছে। কিছু কিছু অসাধু পুলিশ অফিসাদের জন্য, পুলিশের কার্যকলাপের উপরে সাধারণ মানুষ আর আগের মতো ভরসা রাখে না। সাধারণ মানুষ মনে করেন পুলিশ মানেই, ঘুষ খোর বা পার্টির চামচা। কিন্তু না সব পুলিশ সমান নয় সেটাই প্রমাণ করে দিলেন, এই পুলিশ অফিসার। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে এই পুলিশ অফিসার কে আন্তরিক ভালোবাসা ও স্যালুট জানাই।