কার্যত পুরো আফগানিস্তানেরই দখল নিল তালিবানরা। রাজধানী কাবুলে ঢুকতে শুরু করেছে তালিবানী জঙ্গিরা। কাবুলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস থেকে কূটনীতিকদের সরিয়ে নেওয়ার পরই তালিবানরা সেখানে ঢোকা শুরু করেছে।
দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, “চতুর্দিক থেকে তালিবানরা কাবুলে প্রবেশ করছেন।” তবে এর বেশি কিছু জানাননি তিনি। যদিও শেষ পাওয়া খবর অনুসারে তালিবানিদের নেতা মোল্লা আব্দুল ঘানি বারাদার আফগানিস্থানের রাষ্ট্রপতি প্রাসাদে প্রবেশ করেছেন এবং তিনি রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানির সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছেন। তিনিই আফগানিস্তানের নতুন রাষ্ট্রপতি হবেন।
আফগান প্রেসিডেন্টের বাসস্থানের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে করা একটি ট্যুইটে দাবি করা হয়েছে কাবুলের আশেপাশে বেশ কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা গেছে।
কিন্তু দেশের নিরাপত্তা বাহিনী এখনও শহর নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
এক তালিবান আধিকারিক রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তাঁরা কোনো রক্তপাত চাননা। সমঝোতার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে কাবুলের দখল নিতে চান তাঁরা। যে সমস্ত বাসিন্দারা কাবুল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে চান, তাঁদের যেতে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের যাতে হিংসার বলি না হন, সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেনি তাঁরা।
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির কাছ থেকে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে এখনও কোনো বার্তা আসেনি। তবে শনিবার তিনি জানিয়েছিলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং আন্তর্জাতিক পার্টনারদের সাথে পরামর্শ করছেন তিনি।