গত জানুয়ারি মাস থেকে দেশে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। টিকার ডোজ পাওয়ার প্রমাণপত্র হিসেবে মিলছে টিকাকরণের সার্টিফিকেট। সেই সার্টিফিকেটের নিচেই থাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি ও বার্তা। কিন্তু কেন ওই সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। অবশেষে মঙ্গলবার রাজ্যসভায় সেই প্রশ্নের উত্তর দিল কেন্দ্র সরকার।
ঠিক কী জানিয়েছে কেন্দ্র? লিখিত এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানান, ‘টিকাকরণের সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও বার্তা দেওয়া হয় সচেতনতার বার্তাকে আরও শক্তিশালী করতে।
বৃহত্তর জনস্বার্থে টিকাকরণের পরেও কোভিড বিধি মেনে চলার আরজি জানাতেই ওই ছবি ও বার্তা ব্যবহার করা হয়।’ তাঁর মতে, সরকারের নৈতিক কর্তব্য মানুষের কাছে সতর্কতার বার্তাকে এমন ভাবে পৌঁছে দিতে হবে যাতে মানুষ প্রভাবিত হয়।
SSC চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক শিক্ষামন্ত্রীর,আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত
কিন্তু এভাবে সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া কি আন্তর্জাতিক নিয়মের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ। এপ্রসঙ্গে সরকারের স্পষ্ট দাবি, WHO-এর নিয়ম মেনেই কোউইন অ্যাপে সার্টিফিকেটের ফরম্যাট তৈরি করা হয়েছে। যা হয়েছে সবটাই নিয়ম মেনে। যার অন্যতম টিকাকরণের পরেও কোভিড বিধি মেনে চলার এই বার্তা।
টিকাকরণের সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া নিয়ে প্রথম থেকেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বহু বিরোধী দলই কড়া সমালোচনা করেছে এই পদক্ষেপের সঙ্গে। তাদের দাবি, এই ভাবে সার্টিফিকেটের নিচে নিজের ছবি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আত্মপ্রচার করছেন। বিশেষ করে বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচনের আগে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজে লাগানোই বিজেপির উদ্দেশ্য।
এমনকী, এর আগে রাজ্যগুলিকে যখন কেন্দ্রের থেকে টিকা কিনতে হত, তখন প্রশ্ন উঠেছিল তাহলে কেন প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকবে সার্টিফিকেটে? পাঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিশগড় তাদের সার্টিফিকেটে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ব্য়বহার করেছে। দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এই বিতর্ক নিয়েই মঙ্গলবার রাজ্যসভায় মুখ খুলল কেন্দ্র। এখন দেখার, তাদের এই ব্যাখ্যার জবাবে বিরোধীরা কী প্রতিক্রিয়া জানায়।