Pc News Bangla: উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের মাধ্যমে কারিগড়ি শিক্ষা বিভাগ থেকে তরুন তরুনীদের প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ শেষে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে বলে ঘোষনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।সেই মত গত ১২ সেপ্টেম্বর নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বাসে করে বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ছাত্র-ছাত্রীদের।সেখানে মুখ্যমন্ত্রী তাদের অফার লেটার তুলে দেবেন এমনই বলা হয়েছিল।যদিও তা সম্ভব হয়নি।পরে তাদের বলা হয় বাসে ফেরার সময় অফার লেটার দিয়ে দেওয়া হবে।তাও দেওয়া হয়নি।হুগলি জেলার ১০৭ জনকে পরে ফোন করে জানানো হয় হুগলি এইচ আই টি কলেজ থেকে অফার লেটার সংগ্রহ করতে।প্রত্যেকের মোবাইলে একটি পিডিএফ ফাইল দিয়ে দেওয়া হয় গতকাল।আজ হুগলি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজে অফার লেটার নিতে আসে অনেকেই।চিঠিতে লেখা গুজরাটের মারুতি সুজুকি কোম্পানীতে দুই বছরের আইটিআই প্রোগ্রামে ভেহিকেল টেকনিক্যাল এর ট্রেনিং দেওয়া হবে।এগার হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে।
সেন্টার ফি বহন করবে সুজুকি মোটরস গুজরাট প্রাইভেট লিমিটেড।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও নথি দেখার পরই প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচন করা হবে।
চিঠির নিচে সেন্টার ম্যানেজার হিসাবে ভেদপ্রকাশ সিং এর নাম ও ফোন নম্বর দেওয়া হয়।
সেই নম্বরে ফোন করে প্রার্থীরা জানতে পারে এই প্রশিক্ষণের ব্যপারটাই ভূয়ো।যেভাবে তাদের চিঠি ধরানো হয়েছে প্রশিক্ষণের জন্য এটা কোন পদ্ধতি নয়।তারা গুজরাটে প্রশিক্ষণ দেন তার জন্য যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচন করা হয় এবং তাদের প্রত্যেকের জন্য আলাদা করে চিঠি কোম্পানির প্যাডে ইসু করা হয়।সানফাস্ট নামে এক সংস্থার সঙ্গে সুজুকি যৌথভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে দেয় জানান ভেদপ্রকাশ।সানফাস্টের পক্ষ থেকে সিদ্ধার্থ শংকর জানান,গতকাল রাতেই বিষয়টি তারা জানতে পারেন।এই ধরনের কোনো চিঠি তারা ইসু করেননি।পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে তাঁদের কোনো যোগ নেই।ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারীকদের মেল করে জানানো হয়েছে।তাদের সংস্থা বিহার উত্তরপ্রদেশের ছেলে মেয়েদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের কেউ এখনো নেয়নি।
যেভাবে কোম্পানীর প্যাড ব্যবহার করা হয়েছে তাতে স্পস্ট এটা ভূয়ো।
আর এতেই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। অফার লেটার হাতে পাওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা আশাহত হয়েছেন।কেউ কেউ আবার গুজরাটে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে চাইছেন না বলে অফার লেটার নিতেও আসেননি।
এবিষয়ে নোডাল অফিসার কিছু বলতে চাননি।