আফগানিস্তান (Afghanistan) তালিবানদের দখলে যেতেই ফিরল বিমান ‘হাইজ্যাক’-এর প্রবল আশঙ্কা। আর তা উসকে দিল বুধবার সন্ধেবেলা, কলকাতা বিমানবন্দরে আসা একটি ফোন। দমদম বিমানবন্দর (DumDum Airport) সূত্রে খবর, সন্ধে পৌনে সাতটা নাগাদ ফোন আসে এয়ার ইন্ডিয়ার অফিসে।
নিজেকে প্রশান্ত বিশ্বাস বলে পরিচয় দিয়ে একজন ফোন করেন। তিনি বিমান অপহরণের (Flight Hijack) হুমকি দেন বলে বিমানবন্দর সূত্রে খবর। এরপরই তড়িহরি বাড়ানো হয় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বলয়। জোরদার তল্লাশি শুরু হয়। এই মুহূর্তে এয়ার ইন্ডিয়ার সব কটি বিমানে পুলিশ কুকুর, CISF-কে দিয়ে জোরদার তল্লাশি চালানো হয়।
বিমানবন্দর সূত্রে খবর, এদিন সন্ধেবেলা এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) ফোন করে স্পষ্ট বাংলায় বিমান অপহরণের হুমকি দেন প্রশান্ত বিশ্বাস নামে এক বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘আপনাদের ফ্লাইট আমি হাইজ্যাক করব।’ এরপরই জোরদার তল্লাশি শুরু হয় বিমানবন্দরে। কাজে নামে পুলিশ কুকুর, সিআইএসএফ জওয়ানরা। দমদম থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের উড়ানে ভালভাবে তল্লাশি চলে। তবে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলে খবর। তারপরও সুরক্ষার স্বার্থে বিমানগুলি ছাড়ার সময়ও পিছিয়ে দেওয়া হয়।
পাশাপাশি ওই ফোন নম্বর ধরে শনাক্তকরণের চেষ্টা চলে। বিমানবন্দর চত্বরের NSCBI থানা শেষমেশ হুমকিদাতার হদিশ পায়। জানা যায়, ব্যক্তি বনগাঁর কুণ্ডুপুরের বাসিন্দা। এরপরই বনগাঁ থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ব্যক্তির ঠিকানা জোগাড় করে সেখানে উপস্থিত হয় বনগাঁ থানার পুলিশ। প্রশান্তর সঙ্গে কথা বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। ঝোঁকের বশে ফোন করে বিমান হাইজ্যাকের মতো হুমকি দিয়েছেন। তবে তাঁর এই হুমকির নেপথ্যে আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রভাব রয়েছে বলে ধারণা মনোবিদদের একাংশের। হয়ত তাঁর স্মৃতিতে ভেসে উঠেছে ১৯৯৯ সালের কান্দাহার বিমান অপহরণের ঘটনা।