১৫০দিনে পড়লো মেধাতালিকাভুক্ত বঞ্চিত
এস এস সি চাকরীপ্রার্থীদের আন্দোলন।
১৫০ দিনে পড়লো
এস এস সি চাকরীপ্রার্থীদের আন্দোলন।এক কঠিন পরীক্ষার সন্মুখে পড়লেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাননীয়া সত্যের পূজারী, ন্যায়ের প্রতীক। একদিকে গেজেটকে অমান্য করে অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া; অন্যদিকে সত্যিকারের কঠোর পরিশ্রমে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পাশ করেও যোগ্য অথচ সুপরিকল্পিত ভাবে বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ। ন্যায় আর অন্যায় দুই তরফের মহাসংগ্রাম এতদিন ঠান্ডা পথে চললেও আগামী দিনে প্রকাশ্যভাবে বৃহত্তম রূপ নিতে চলেছে। ন্যায় এবং অন্যায় পক্ষের সংঘাতে রাজ্যের সুপ্রিমো মাননীয়া কি ভূমিকা অবলম্বন করে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন নবম- দ্বাদশ লেভেলের মেধাতালিকা ভুক্ত বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ। আন্দোলনকারী পার্থ প্রতিম মন্ডল;সুদীপ মন্ডল;প্রণব মন্ডল;রাকিব হোসেন দাবী তুলেছেন এস এস সি কমিশন গেজেটের গুরুত্বপূর্ণ অনেক অংশ সুপরিকল্পিত ভাবে এড়িয়ে ক্রমাগত নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে গেছে।
গেজেট মেনে কোথায় নিয়োগ হয়েছে? কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন ওঠেছে –1) লিখিত নম্বর, অ্যাকাডেমিক নম্বর, ভাইভার নম্বর সহ পূর্ণাঙ্গভাবে স্বচ্ছ মেরিট লিষ্ট প্রকাশ করেনি কেনো কমিশন? 2) গেজেট অনুযায়ী রেশিও মানেনি কেন কমিশন? 3) আপডেট ভ্যাকান্সিতে নিয়োগ করেনি কেনো কমিশন? 4) সাধারণ মেরিট লিষ্ট প্রকাশ করার পরেও নতুন নাম কোন যুক্তিতে সংযুক্ত করলো কমিশন ? 5) SMS করে সামনের দিকে থাকা প্রার্থীদের বঞ্চিত রেখে পিছনের দিকে থাকা প্রার্থীদের কোন যুক্তিতে নিয়োগ করেছে কমিশন?…… নবম- দ্বাদশ লেভেলের শিক্ষক নিয়োগে অবৈধ নিয়োগের বিরুদ্ধে 2019 সালে প্রেসক্লাবের সামনে 29 দিনের অনশন এবং অনশন মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির 2 বছর হয়ে গেলেও এখন ও হয়নি কার্যকর। মাননীয়ার আশ্বাস ছিল যোগ্য প্রার্থীদের কোনো ভাবেই বঞ্চিত করা হবে না। প্যানেলভুক্ত সকল যোগ্য প্রার্থীদের যাতে চাকরিতে নিয়োগ করা হয় তার জন্য প্রয়োজনে আইনের কিছু পরিবর্তন করেও সুব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজ্যের সুপ্রিমো।
মঞ্চে দাঁড়িয়ে মাননীয়া এই সমস্যা সমাধানের জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন।কমিটির সদস্যরা 2019 সাল থেকে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের কি সমাধান সূত্রে উপনীত হয়েছিলেন তা যোগ্য অথচ বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের কাছে আজও অজানা। আন্দোলনকারীদের কাছে হঠাৎ গোপন রহস্য ধরা পড়লো। প্রার্থীদের 5 প্রতিনিধি দের একাংশ সামনের দিকে থাকা প্রার্থীদের টপকে অনেক পিছনের দিকে থাকা সত্ত্বেও চাকরিতে অবৈধ নিয়োগ হয়েছে । ন্যায়বিচার এখন নীরবে কাঁদছে, চোখের জলে ভাসছে বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ। মহামান্য হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক গেট ৫ এর কাছে ১৫০ দিন ব্যাপী চলছে আবার দ্বিতীয় পর্যায়ের আন্দোলন।
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ দ্বিতীয়বারের জন্য আবার হস্তক্ষেপ চেয়ে করুণ আবেদন করে চলেছে।
স্বরস্বতী পূজো থেকে রমজান মাস- কেটেছে তাদের এই অনশন মঞ্চে। বনশ্রী হালদার;লুবানা পারভিনদের কথায় ‘জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সৌভাতৃত্বের নিদর্শন হয়ে থাকবে এই অরাজনৈতিক মঞ্চ।’ইয়াস ঝড়ের তান্ডব; মহামারী করোনাকে উপেক্ষা করে হকের দাবী আদায়ের জন্য চলছে তাদের ১৫০দিন ব্যাপী মহাসংগ্রাম। মেধাতালিকাভুক্ত বঞ্চিত প্রার্থীরা ন্যায়ের দেবী;সততার কাণ্ডারি মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নের প্রহর গুনছে। যদিও এখনও কোনো উত্তর মেলেনি রাজ্য সুপ্রিমোর।।