গত দিন চারেক ধরে কানাডার এক ১২ বছরের কিশোরের গলা ব্যথা হচ্ছিল। সেইসঙ্গে তার প্রস্রাবের রং হয়ে উঠেছিল গাঢ় । তার জিভের রং ড়য়ে উঠেছিল একেবারে হলুদ । এরপর ওই কিশোরের পরিবারের সদস্যরা ওই অবস্থায় তাকে ডাক্তারদের কাছে নিয়ে এসেছিলেন । তারপর পরীক্ষা করে দেখা গেল, ওই কিশোর ‘এপস্টাইন বার ভাইরাস’ বা ইবিভি-তে আক্রান্ত হয়েছে।
দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন ওই কিশোেরর ঘটনাটি জানানো হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইবিভি সংক্রমণের জন্য ওই কিশোর তীব্র হিমোলিটিক অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল। ফলে তাঁর শরীরে জন্ডিস ধরা পড়েছিল। এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নেমে দাড়িয়েছিল ৬.১ গ্রাম। তবে চিকিৎসায় অবশ্য এখন সে সুস্থ হয়ে উঠেছে।
এই ভাইরাস কী:-
এপস্টাইন-বার ভাইরাস বা ইবিভি, হিউম্যান হার্পিস ভাইরাস ৪ নামেও পরিচিত। এই ভাইরাসটি মূলত মোনোনিউক্লিয়েস বা এক ধরমের সংক্রামক জ্বর ঘটায়। তবে কয়েক ধরণের ক্যান্সারেরও কারণ এই ভাইরাস। সারা বিশ্বে এই ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায় এবং অধিকাংশ মানুষই জীবনে কোনও না কোনও সময় ইবিভিতে আক্রান্ত হন।
এই ভাইরাস ছড়ায় কীভাবে?
এই অতি-সংক্রামক ভাইরাসটি চুম্বন, একসঙ্গে খাবার ও জল ভাগ করে খাওয়া বা অন্য কোনওভাবে দেহস্রাব বিনিময়ের মাধ্যমে সংক্রামিত ব্যক্তির থেকে অন্য ব্যক্তির দেহে ছড়িয়ে পড়ে।
এই রোগের লক্ষণ:-
জ্বর, গায়ে ফুসকুড়ি, ক্লান্তি, শরীরে ব্যাথা, গলায় ব্যথা, মাথা ব্যথা, লিভার ফুলে যাওয়া, ফোলা ঘাড়, হাতপায়ের গাঁট ফুলে যাওয়া, প্লীহার স্ফীতি,খাওয়ার অনীহা ইত্যাদি।
বর্তমানে কাদের এই ভাইরাসে সংক্রমিত হবার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে?
গুরুতর কোভিড-১৯ রোগী এবং যারা দীর্ঘদিন কোভিডে ভুগে সুস্থ হযে উঠেছেন, তাদের শরীরে এপস্টাইন-বার ভাইরাসের পুনরুত্থান ঘটার ,সম্ভাবনা বেশি দেখা যাচ্ছে।
এই রোগ থেকে বাঁচার উপায়?
এই রোগের নেই ভ্যাকসিন, নেই ওষুধ। তাই বেশী করে তরল জাতীয় খাবার খান আর বিশ্রাম নিন।