Thursday, April 18, 2024
spot_img
spot_img
Homeখবরস্কুল প্রাঙ্গণে জুয়া ও নেশার আসর বসছে অভিযোগ শিক্ষকদের।

স্কুল প্রাঙ্গণে জুয়া ও নেশার আসর বসছে অভিযোগ শিক্ষকদের।

একটি আণুবীক্ষণিক ভাইরাস কিভাবে মানুষের জীবনযাত্রাকে নাড়িয়ে দিতে পারে তা করোনা মহামারীর না এলে হয়তো মানুষের অদেখা থাকতো। কেবল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নয় দেশের অর্থনীতি কেও বিপন্ন করেছে এই মহামারী। আর এই মুহূর্তে সামাজিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। রাজ্যে লকডাউন চলায় বর্তমানে বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান।এই সুযোগে স্কুল প্রাঙ্গণে জুয়া ও নেশার আসর বসছে দুষ্কৃতীদের,ও তার সাথে দুষ্কৃতীরা স্কুলের বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি স্কুলের সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি করল,মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর চক্রের খিজিরিয়া বাংরুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

উল্লেখ্য করোনা পরিস্থিতিতে অনান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো খিজিরিয়া বাংরুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ। এই সুযোগে স্কুলে চুড়ি ও জিনিসপত্রের ক্ষয়ক্ষতি করল দুষ্কৃতীরা। স্কুলের ইলেকট্রিক সার্ভিস তার কেটে ইলেকট্রিক বোর্ড উপড়ে ফলা হয়, মার্শাল এর তার কেটে ফেলে এবং মার্শালের পাইপ ভেঙে ফেলা হয়। এমনকি স্কুলের প্রাচীর ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে আবেদালি এদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দেখে স্কুলের বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র সহ ভেঙে পড়া এবং উপরে ফেলা দেখে বিষয়টি দেখে স্থানীয় গ্রামবাসীক এবং স্কুলের পার্শ্বশিক্ষক নূর মোহাম্মদকে জানান।

তারপর স্কুলের সহকারি শিক্ষক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ও নূর মোহাম্মদ বিষয়টি খতিয়ে দেখে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জয়দেব দাস কে চুরির বিষয়টি জানান। স্কুলের পার্শ্বশিক্ষক নূর মোহাম্মদ জানান স্কুলের ইলেকট্রিক সরঞ্জাম চুরি হয়েছে , সাবমারসিবল নল সহ প্রাচীর ভেঙে ফেলা হয়েছে । স্কুল বন্ধ থাকায়, স্কুল প্রাঙ্গনে মানুষের এবং গবাদি পশুর মোল মূত্র দেখা যায় তাছাড়া সকাল-বিকাল স্কুল প্রাঙ্গণে জুয়া ও নেশার আসর বসে থাকে। স্কুলের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানিয়েছেন স্কুলের ইলেকট্রিক সরঞ্জাম সহ একাধিক জিনিস চুরি ও অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এদিন। এধরনের ঘটনা আগেও কয়েকবার ঘটেছে। এবিষয়ে গ্রামবাসীদের জানানো হয়েছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আজ লিখিত আকারে জানানো হবে। রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির জন্য স্কুলগুলি বন্ধ প্রায় দের বছর ধরে। যদিও মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর স্কুল খোলা হয়েছিল কিছুদিনের জন্যে। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মক রূপ নেওয়াতে আবার বন্ধ হয় স্কুল গুলি। তারপরেই শুরু হয়েছে এই লুটতরাজ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments