Thursday, April 18, 2024
spot_img
spot_img
Homeজেলাসালিশি সভায় জোর করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে আত্মঘাতী হলেন বছর কুড়ির যুবক।

সালিশি সভায় জোর করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে আত্মঘাতী হলেন বছর কুড়ির যুবক।

সালিশি সভায় জোর করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে আত্মঘাতী হলেন বছর কুড়ির যুবক। গোটা ঘটনাই ঘটল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে। মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতেই আত্মঘাতী হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার মানিকচক গ্রামপঞ্চায়েতের মনকুট বাঁধ এলাকায়।

মাণিক মন্ডল, বয়স ২০বছর। তার সাথে গ্রামেরই এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রবিবার গ্রামের এক বাগানে ওই দুই যুগল কে দেখে ফেলেন পাড়ার লোক। এরপরেই হইচই শুরু হয়ে যায় বিষয়টি নিয়ে। গ্রামে বসে সালিশি সভা। ওই সভায় ছিলেন, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যও। সভায় নিদান দেওয়া হয় ওই যুগলের বিয়ের জন‍্য। সালিশি সভায় ওই যুগলকে নিয়ে আসা হয়। মন্দিরে গিয়ে জোর করে বিয়েও দেওয়া হয়। এরপর মাণিকের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু এই ঘটনায় মাণিকের মা আপত্তি জানায়। মাণিকের মা জানান, মাণিকের বাবা কাজের সূত্রে ভিন রাজ‍্যে রয়েছেন, তাছাড়া এই সম্পর্কে আমার আপত্তি রয়েছে। তার সত্ত্বেও আমাকে জোর করে মানতে বাধ‍্য করা হয়। মানিকের দাদা জানান, ‘আমাদের এখনই বিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে ছিল না। পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। বাবা বাড়িতে নেই। ভিনরাজ্যে গিয়েছে। সেই কারণে আপত্তি ছিল। আমরা বলেছিলাম পরে বিয়ে দেওয়ার কথা।’
তারপরেই শুরু হয় মায়ের সঙ্গে তর্ক বিতর্ক। এরপরেই অভিমানে আত্মঘাতী হয় যুবক। মৃতের স্ত্রী বসুমতী মণ্ডল বলেছেন, ‘আমাদের জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। ওর মা বিষয়টা মেনে নিতে পারেনি। তাই এই ঘটনা।’  গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য আশিস মণ্ডন বলেন, ‘গ্রামের লোকজন বলেছিল। আমাকেও ডেকেছিল। আমিও ছিলাম। আমি প্রশাসনকে জানানোর কথা বলেছিলাম। কেউ রাজি হয়নি। জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়নি। সহমতেই বিয়ে দেওয়া হয়।’

এই ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন‍্য দেহ পাঠানো হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments