দিল্লি বিধানসভায় (Delhi Assembly) খোঁজ মিলল গোপন সুড়ঙ্গের। আর সেই কারণে চাঞ্চল্য ছড়াল কলকাতায়। কিন্তু কেন? জানা গিয়েছে, দিল্লি বিধানসভায় একটি সুড়ঙ্গ আবিষ্কার হতেই তা একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় (West Bengal Assembly) সুড়ঙ্গ আবিষ্কার বলে প্রচারিত হতে থাকে। সেই ‘ভুলের’ বশেই নড়েচড়ে বসে লালবাজার (Lalbazar)। এরপরই কলকাতা পুলিশের সদর দফতর থেকে ফোন যায় বিধানসভায়। তবে লালবাজারকে আশ্বস্ত করে বিধানসভা। এরপরই হাঁফছেড়ে বাঁচেন লালবাজার কর্তারা।
কিন্তু দিল্লি বিধানসভা চত্বরে ঠিক কী হয়েছে? জানা গিয়েছে, দিল্লি বিধানসভা চত্বরে একটি টানেলের মতো কাঠামো আবিস্কৃত হয়েছে। সেই টানেল বহু পুরনো এবং এতদিন তা ছিল লোকচক্ষুর আড়ালে। দিল্লি বিধানসভার অধ্যক্ষ রাম নিবাস গোয়েল বলেন, ‘এই লুকোনো সুড়ঙ্গটি দিল্লি বিধানসভা থেকে লালকেল্লা পর্যন্ত বিস্তৃত। স্বাধীনতা সংগ্রামী বন্দিদের লুকিয়ে লালকেল্লার আদালতে পাঠানোর জন্যই ব্রিটিশ শাসকরা এই সুড়ঙ্গ ব্যবহার করত বলে মনে করা হচ্ছে।’
অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি। দিল্লি বিধানসভায় বেশ কিছু সুড়ঙ্গ আছে, লোকমুখে এ কথা বহুদিন ধরেই প্রচারিত হয়েছে। অবশেষে তেমন একটি সুড়ঙ্গের খোঁজ মিলল। রাম নিবাস গোয়েলের আরও দাবি, তিনি যখন ১৯৯৩ সালে প্রথমবার বিধায়ক হয়েছিলেন তখনই এই সুড়ঙ্গের কথা শুনেছিলেন। কিন্তু সেই সুড়ঙ্গের ইতিহাস জানা সম্ভব হয়নি। অবশেষে শুক্রবার সেই সুড়ঙ্গ আবিষ্কৃত হল।