হাওড়ার শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জালিয়াতির কারবার চালাতে শুধু জগাছার বাড়ি থেকে নয় কলকাতার কেষ্টপুরের মহিষগোটেও ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিল এই কারবার চালাতে। জগাছা থানার পুলিশ ও নিউ টাউন থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার তাকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে হানা দেয়। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ওয়াকিটকি, ল্যাপটপ ও সিবিআইয়ের নকল স্ট্যাম্প-সহ চাকরি দেওয়ার নিয়োগপত্র। পুলিশ ফ্ল্যাটটি সিল করেছে। শুভদীপের গ্রেফতারির খবর পাওয়ার পর ওই ফ্ল্যাটের মালিক পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শুভদীপ সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে ফ্ল্যাট ভাড়া দিত।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে শুভদীপ একাই ছিল এই জালিয়াতির মাথা। শুভদীপের দাবি মধুবনীর বাসিন্দা লালন কুমারের সাহায্যে সে বিভিন্ন জনকে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিত। কিন্তু শুভদীপ কে ভালো করে জেরা করার পর জানা যায়, লালনের থেকেই প্রথমে টাকা নিয়েছে শুভদীপ । এরপর তাকে টোপ করে তারই বন্ধুদের সাথে প্রতারণা করেন । তদন্তকারীরা মনে করছেন লালনকে এখন গ্রেফতার না করে তাকে এখন ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। লালনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যেতে পারে শুভদীপ কত জনকে প্রতারিত করেছে এবং কত জনের থেকে টাকা নিয়েছে।
শুভদীপের নীলবাতি গাড়ির চালকের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে , শুভদীপ মাঝেমধ্যে গাড়ি ভাড়া নিয়ে শহরে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরে বেড়াত। কখনও জিপিও-র কাছে আবার কখনও যেত সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে। তবে গাড়ি থেকে নামত না। সবসময় গাড়ির ভিতরেই বসে থাকত। এর জন্য দৈনিক আড়াই হাজার টাকা গাড়ি ভাড়া দিত অভিযুক্ত।গাড়ির চালকের কাছে শুভদীপ নিজেকে সিবিআই দাবি করায়, তাই আর গাড়ির চালকের সন্দেহ হয়নি।