করোনা কালে শিক্ষার্থীদের পড়ানোর জন্য নয়া মডেল তৈরি করেছেন বঙ্গের এক শিক্ষক। যা নজর কেড়ে নিয়েছে রাষ্ট্রপতির। তাই ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিনই রামনাথ কোবিন্দ তাঁকে ভার্চুয়ালি পুরস্কৃত করবেন। কিন্তু কী এই মডেল? করোনা পরিস্থিতিতে অর্ধেক পড়ুয়া স্কুলে এবং অর্ধেক বাড়িতে থেকে কীভাবে পড়াশোনা করতে পারবেন, তা নিয়ে একটি নতুন মডেল তৈরি করেছেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে একমাত্র রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপক শিক্ষকের নাম হরিস্বামী দাস। তিনি মালদার শোভানগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। গত বছর লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই ছাত্রছাত্রীরা মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তাঁদের মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখতে পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখা করেছেন হরিস্বামীবাবু এবং তাঁর সহ শিক্ষকরা। চলতি বছরে তিনি ‘হাইব্রিড লার্নিং’ পদ্ধতি শুরু করার জন্য দিল্লিকে আবেদন জানান।
পাশাপাশি ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রত্যেকটি বইয়ের QR কোড তৈরি করেছেন। ফলে শিক্ষার্থীরা যেখানেই থাকুক না কেন, শুধু মোবাইল থাকলেই যেকোনও বই পড়ে ফেলতে পারছেন। যা পছন্দ হয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের। এই পদ্ধতি রাজ্যের আর কোনও স্কুল করেনি এখনও পর্যন্ত।
হরিস্বামীবাবু বলেন, ‘স্কুল বন্ধ থাকলেও অনলাইনে ক্লাস, সেমিনার সবকিছুই হয়েছে। সারা বছর ধরেই বিভিন্ন সামাজিক কাজ করেছি আমরা। তার স্বীকৃতি পেলাম। খুবই ভাল লাগছে।’ হরিস্বামীবাবু মালদার শোভানগর হাইস্কুলের দায়িত্ব নেওয়ার পর স্কুলটি ২০১৫ সালে নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার পেয়েছিল। ২০১৮ সালে শিশুমিত্র পুরস্কার পেয়েছিল। ২০১৯ সালে পায় যামিনী রায় পুরস্কার। শিক্ষামন্ত্রকের তরফে ২০২০ সালে হরিস্বামী দাসকে জল সংরক্ষণ ও নিখরচায় শিক্ষণ সামগ্রী তৈরির জন্য দু’বার জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়।