দুমাস আগে রাজ্যে একুশের নির্বাচন শেষ হয়েছে। এরপর রাজ্য সরকারের তরফ থেকে উপনির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনও তৎপরতা শুরু করূ দিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানতে চেয়েছিল বাংলায় দুই রাজ্যসভা নির্বাচনের পরিবেশ রয়েছে কি না । এর উত্তরে রাজ্য জানায় দুই নয়, সাতটি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের পরিবেশ রয়েছে। এরপরই ওইসব কেন্দ্রে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলের উপস্থিতিতে ইভিএম পরীক্ষা শুরু করা হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, ভবানীপুর, রাসবিহারী, বালিগঞ্জ ও কলকাতা পোর্টে যেসব ইভিএম ভোটের কাজে লাগানো হয়েছিল, মূলত সেগুলিকে এখানে পরীক্ষার কাজ করা হচ্ছে। পুরনো সিল কেটে ইভিএমগুলিকে ক্লিয়ার করার কাজ চলছে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে।
প্রসঙ্গত, যে ৭ টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে সেগুলি হল: ভবানীপুর, খড়দহ, জঙ্গিপুর, সামসেরগঞ্জ, শান্তিপুর, দিনহাটা, গোসাবা। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ছিলেন এই ভবানীপুর কেন্দ্রের পার্থী আর তার এই পদ ছেড়ে দেওয়ায় পার্থী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ভবানীপুর কেন্দ্রের দিকেই সবার লক্ষ্য। খড়দহের বিধায়ক কাজল সিনহা ভোটের ফলাফল প্রকাশের আগে মারা যান তাই খড়দহে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চ্যাটার্জি প্রার্থী হবেন। এছাড়াও দিনহাটা, শান্তিপুরে আবারও ভোট হবে। কারণ বিজেপির জয়ী ২ বিধায়ক নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন। গোসাবাতেও আবার ভোট হবে কারণ বিধায়ক করোনা আক্রান্তে মারা গিয়েছে। আর বিধানসভা ভোটের সময় মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর এবং সামসেরগঞ্জে নির্বাচন হয়নি। কারণ করোনার প্রকোপ এতটাই তুঙ্গে ছিল ভোট নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়। তাই ওখানেও ভোট হবে।