মুসলিম’ কন্যা বিতর্কে মুখ খুললেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস। তিনি বলেন, প্রথম পার্থীর ঘোষণায়, তাঁর বেগম রোকেয়ার কথা মনে পড়ছিল, তাই তিনি আবেগের বশে উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম রুমানা সুলতানাকে ‘মুসলিম’ কন্যা হিসাবে অভিহিত করেছেন।
আসল ঘটনাটি হল, বৃহস্পতিবার যখন উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশিত হয়, তখন পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস বলেন, ‘সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে একটা ইতিহাস হয়েছে। যেটা একটু বলতে ইচ্ছে করছে। এককভাবে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন এক মুসলিম কন্যা। মুর্শিদাবাদ জেলার এক মুসলিম গার্ল। তিনি ৫০০ মধ্যে এককভাবে ৪৯৯ সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘সংসদের ইতিহাসে প্রথমবার এরকম ভালো রেজাল্ট কেউ করেছে। ওঁর কথা বলার সময় আবেগের বশে বেগম রোকেয়ার কথা মনে করছিলাম, যিনি এরকম একইভাবে লেখাপড়ায় ভালো এবং সাধারণ ঘরানা থেকে উঠে এসেছিলেন। সেই ভিত্তিতে সাংবাদিকদের তথ্য জানানোর সময় তাদের বুঝতে সুবিধার জন্য তথ্য হিসেবে বিষয়টা উল্লেখ করেছি। মেয়েটি শিক্ষার রত্ন, তাঁর গৌরব যাতে সংসদ সবার মধ্যে ভাগ করে নিতে পারে, সেই অভিপ্রায় থেকেই ওভাবে কথাগুলো বলেছিলাম।’
এই ঘটনা নিয়ে, তৃণমূলের নেতা তাপস রায় বলেন, ‘ছাত্রী, পড়ুয়া এই পরিচয়ই যথেষ্ট। বাকি যা হয়েছে, সেটা না হলেই ভালো হত।’
শমীক ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ‘রুমানা সুলতানাকে শুধু নয় সামগ্রিকভাবে একটি সম্প্রদায়কে অসম্মান করা হয়েছে।’