মালদা মেডিক্যালের ১৭৭ জন অস্থায়ী কর্মীর হাতে ধরানো হয়েছে ছাঁটাইয়ের নোটিস। আর এই নিয়ে শুরু হয় কলেজ ও হাসপাতালে অস্থায়ী কর্মীদের বিক্ষোভ। ১ আগস্ট থেকে হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীদের কাজে আসতে নিষেধ করে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, হাসপাতালের কোষাগারে টাকার পরিমাণ কমে আসছে, আর তার জেরেই এই পদক্ষেপ। আজ সকাল থেকে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখায় কর্মীরা । হাসপাতালের প্রিন্সিপাল জানিয়েছেন, সমস্যার কথা উচ্চস্তরে জানানো হবে।
ভয়ংকর য়করোনা মোকাবিলায় যারা জীবনের ঝুকি নিয়ে মানুষকে সেবা করে গেছেন, তাদের হাতেই ধরানো হল কর্মী ছাটাই এর নোটিশ।প্রায় ১৭৭জন কর্মীর হাতে ধরানো হয়েছে। তারা আর কাজ করতে পারবেন না। এদের মধ্যে কেউ হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে কাজ করেন। কেউ ডেটা অপারেটর, কেউবা আবার স্বাস্থ্যকর্মী। এই অস্থায়ী কর্মীদের বেতন ছিল মাসে ৭ থেকে ১৫ হাজার টাকা।
প্রিয়া শীল নামে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক অস্থায়ী কর্মী জানান, হঠাৎ আমাদের ১ তারিখ থেকে কাজে আসতে বারণ করে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই কারণেই বিক্ষোভে অবস্থানে বসেছি। আমরা চাই , এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হোক। আমাদের কাজ ফেরত দেওয়া হোক।
আগে তো মেডিক্যাল কলেজের তহবিল থেকেই দেওয়া হত বেতন, তাহলে এখন কেন এমন সিদ্ধান্ত?
মালদার জেলাশাসক ও হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন,
“স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি ছাড়া এই নিয়োগ হয়েছিল। তাই এঁরা স্বাস্থ্য দফতর থেকে বেতন পেতেন না। বেতন পেতেন হাসপাতালের ফান্ড থেকে। কিন্তু এখন হাসপাতালের ফান্ড শূন্য । সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য দফতরকে এই ঘটনা জানানো হয়েছে। এবং হাসপতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে নতুন করে শূন্য পদ তৈরির জন্য। নতুন করে শূন্য পদ তৈরি হলে এঁদের পুনরায় নিয়োগ করা সম্ভব হবে।”