মধুপুর কলোনী পাড়ার শ্রী শ্রী শীতলা মায়ের পুজোর আয়োজন তুঙ্গে।
মুর্শিদাবাদ জেলার নওদা থানার অন্তর্গত মধুপুর কলোনী পাড়া এলাকার মাঠের মধ্যে শীতলা মায়ের পুজোর ব্যবস্থাপনা তুঙ্গে। গতবছর মহামারী করোনা কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, দেশের সর্ব প্রান্তের সব অনুষ্ঠান গুলো, বাদ পড়েনি এই শীতলা মায়ের পুজো, হাতেগোনা কয়েকজন মন্দিরে এসে, শীতলা মায়ের পুজো করে ছিলেন গত বছর। কচিকাঁচারা কোন রকম আনন্দ করতে পারেনি গত বছর শীতলা মায়ের পুজোতে, এই শীতলা পুজো একদিনের জন্যই হয়, এই পুজোতে বিরাট মেলার আয়োজন করা হয়, বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন আসে এই পুজোর মেলাতে।
প্রত্যেক বছরই এই শীতলা পুজোর মেলাতে নজরকাড়া ভিড় দেখা যায়। এই পুজোর দিন শীতলা মায়ের পুজো শেষ না হওয়া পর্যন্ত রান্না বান্না করতে পারেন না গ্রামের লোকজন, মায়ের পুজো শেষে উননে আগুন দিতে পারেন গ্রামবাসীরা। মেলাতে আসা খাবারের দোকানগুলোতেও আগুন জালানো হয় না মায়ের পুজো না হওয়া পর্যন্ত।
এই পুজোর দিন ভোরের দিকে মাইকে অ্যালাউন্স করে গ্রামবাসীকে রান্না করে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়, নিয়ম মেনে গ্রামবাসীরা সকলেই ভোরবেলায় রান্না সেরে ফেলেন, গ্রামের বেশিরভাগ মেয় ও বাড়ির বউরা নির্জলা উপস থাকেন এই শীতলা পুজোয়। প্রত্যেক বৈশাখ মাসের প্রথম মঙ্গলবারে এই শীতলা মায়ের পুজো করা হয়, খুব সকাল থেকেই পুজোর তোড়জোড় নজরে আসে।
এই শীতলা পুজোতে মানত করে থাকেন অনেকেই, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজনের সমাগম হয় এই শীতলা পূজার মেলায়, বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ মানত মানে এই মন্দিরের মায়ের কাছে, সেই মানত দিতে আসেন এই পুজোর দিন। এই শীতলা পূজার দিন গ্রামবাসীরা নতুন পোশাক পড়ে পুজোর স্থানে আসেন। মনের আশা পূরণ করতে বা সংসারের মঙ্গল কামনায় মানত করে, গাছের ডালে মাটির ঢেলা বা ইটের কুচি বাঁধে অনেকেই, গ্রামের বাসিন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মন্দিরের প্রতিমা খুবই জাগ্রত, কারোর কোন রকম সমস্যা হলে অনেকেই আসেন এই শীতলা মায়ের মন্দিরে, শোনা গিয়েছে অনেকেই এই মন্দিরে মানত করে, বিভিন্ন দিক দিয়ে উপকার পেয়েছেন।
নতুন গাড়ি কিনে পুজো দেওয়া থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত হয় এই শীতলা মায়ের মন্দিরে। বৈশাখ মাসের প্রথম মঙ্গলবারে এই শীতলা মায়ের পুজো করা হয় এবং সেই প্রোথা মেনেই এবারও বৈশাখ মাসের প্রথম মঙ্গলবারেই মায়ের পুজো হবে। অনেকের কাছেই তামালতলা বা মাদারতলা নামে পরিচিত এই শিতলা মায়ের মন্দির।