কিছুদিন ধরেই চলছিল মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি, গত দু’দিন ধরে বৃষ্টির প্রকোপটা অনেকটাই বেড়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চলছে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি, মুর্শিদাবাদের বৃষ্টির প্রকোপটা কম নয়। অতি ভারী বৃষ্টির ফলে চাষীদের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে এবং বিভিন্ন রকম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মানুষকে। আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানা গিয়েছে, নিম্নচাপ এবং মৌসুমি বায়ুর সাঁড়াশি আক্রমণে বৃষ্টি চলবে রাজ্যজুড়ে। উত্তরপ্রদেশ থেকে অসম পর্যন্ত নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত। বিহার-উত্তরবঙ্গের ওপর দিয়ে এই অক্ষরেখা বিস্তৃত হয়েছে। তার ওপর মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয় বঙ্গে। ফলে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকেছে। অতি ভারী বৃষ্টির ফলে জনজীবন বিপন্ন হচ্ছে, যখনই বৃষ্টি হচ্ছে একঘণ্টা থেকে দেড়় ঘন্টা ধরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিটি চলছে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে।
আজ কলকাতায় ঘন কালো মেঘলা আকাশ। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দু-এক পশলা বৃষ্টির চলছে। জলীয় বাষ্পের কারণে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রী। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪.৩ ডিগ্রী। বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৪.৫ মিলিমিটার। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলছে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলায়। বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তরবঙ্গ লাগোয়া জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর শুক্র ও শনিবার। বৃষ্টির চাপ বাড়লে ও মাঝেমধ্যে দেখা যেতে পারে সূর্যকে, তবে সূর্যের তাপ থাকবে একদমই নিম্নমুখী।
জেলার কোথাও হালকা থেকে মাঝারি আবার কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শুক্র-শনিতে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের। জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি চলবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা। শুক্র ও শনিবার প্রবল বৃষ্টির লাল সর্তকতা জলপাইগুড়ি, কোচবিহার আলিপুরদুয়ার এবং দার্জিলিং, কালিম্পংয়েও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে, ইতিমধ্যেই হালকা থেকে মিডিয়াম বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারী বৃষ্টি হবে মালদহ উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। রবিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গের নদিয়া মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি না হলে জলীয়বাষ্প বেশি থাকার কারণে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়বে। তবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে চলছে হালকা ঝড়ো হাওয়া।