মুর্শিদাবাদ জেলার নওদা থানার দমদমা গ্রামের হালিমা বিবি, বয়স 32 বছর, স্বামী বাসারুল শেখ বয়স 35 বছর, দুজনে মিলে ভিন রাজ্যে যান লেবারের কাজে। ব্যাঙ্গালোরের গ্রুপ ফিল্ড বস্তিতে, স্বামী পেশায় রাজমিস্ত্রি, স্ত্রী পুরনো কাপড় পাড়ায় পাড়ায় বিক্রি করতেন।
হালিমা বিবি আঠাশে ফেব্রুয়ারি সকাল ন’টায় প্রকাশ্যে দিবালোকে ব্যাঙ্গালোরের রাস্তায় খুন হয় বলে অভিযোগ, 24 ঘন্টার মধ্যে দুষ্কৃতী ধরা পড়ে।
সেই মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য আর্থিক ক্ষমতা ছিল না পরিবারের লোকের, তখন পরিবারের লোকজন নওদার বিধায়িকা শাহিনা মমতাজ খানের দ্বারস্থ হন। বিধায়িকার কাছে পরিবারের লোকজন আর্থিক সাহায্য চান। মৃতদেহ বাড়িতে আনতে 65 হাজার টাকা খরচা হবে বলে জানান। তখন বিধায়িকা শাহিনা মমতাজ খান পুরো টাকাটাই কিছুদিন পর দেবেন বলেন।
সেইমতো পরিবারের লোকজন ধার করে মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে তেসরা মার্চ, এখন নওদার বিধায়িকা শাহিনা মমতাজ খান মাত্র চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা দিতে চান বলে মৃতের পরিবারের অভিযোগ।
এই খবর পাওয়ার পর সিপিআইএম পার্টির জেলা কমিটির সদস্য তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী, মাননীয় সৌমিক মন্ডল ব্যাঙ্গালোরের পরিযায়ী শ্রমিকদের বলে বেশ কিছু টাকা সংগ্রহ করেন এবং উনি নিজেই কিছু টাকা দিয়ে প্রায় 30 হাজার টাকা গতকাল বিকেলে দমদম আর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের হাতে তুলে দেন, টাকা পেয়ে খুশি পরিবারের লোকজন।
এই ঘটনায় এলাকার লোকজন সাধুবাদ জানিয়েছেন সৌমিক মন্ডল মহাশয়কে। এলাকার মানুষজন বলেন, প্রতিশ্রুতি দেওয়ার লোক অনেক কিন্তু প্রতিশ্রুতি, প্রতিশ্রুতিই থেকে যায়। আজকের দিনে কথা দিয়ে কেউ কথা রাখে না।
এই কঠোর সংকটজনক অবস্থায় পাশে দাঁড়িয়ে সত্যিই একটা খুবই ভালো কাজ করেছেন সৌমিক বাবু।