প্রত্যেক পরিবারেই ইলেকট্রিকের (Electricity) ব্যবহার খুবই প্রয়োজনীয়। লাইট, ফ্যান, টিভি, ফ্রিজ তো বটেই, আজকাল অনেকের বাড়িতেই ইনডাকশন, মাইক্রোওয়েভ সহ একাধিক ইলেকট্রিক যন্ত্র দৈনন্দিন ভিত্তিতে ব্যবহৃত হয়। ফলে বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রিক বিল উঠতে দেখা যায়। আবার অনেকের সাধারণ ইলেকট্রিকের ব্যবহারেই বিল (Electricity Bill) দেখে কপালে ভাঁজ পড়ে।
আসলে বেশিরভাগ সময়ে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার সময়ে অসাবধানতার কারণে এটি হয়ে থাকে। কখনও কখনও বেশি বিদ্যুত্ ব্যবহার করে, এমন নিম্নমানের বৈদ্যুতিক দ্রব্য থেকেও বেশি ইলেকট্রিক বিল আসে। যদিও এনার্জি সাশ্রয় এবং প্রচুর বিদ্যুত্ বিল এড়াতে বিদ্যুত্ সরবরাহকারী সংস্থাগুলি মানসম্মত পণ্য ব্যবহার করে বলেই দাবি করে।
তবে কিছু সহজ টিপস মানলে বাড়িতে বিদ্যুতের সঙ্গে আমাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জন করা অর্থ সাশ্রয় করা যায়। ব্যবহার না করলে কম্পিউটার বন্ধ রাখতে হবে: বর্তমানে কোভিড-১৯-এর বিধিনিষেধের মধ্যে, বেশিরভাগ মানুষকে বাড়ি থেকে কাজ করতে হচ্ছে। তাই যখনই আমাদের কাজের মাঝে বিরতি নেওয়া দরকার, কম্পিউটারকে স্লিপ মোডে রাখা উচিত হবে না, বরং বন্ধ করে দেওয়াটাই ঠিক হবে।
- বৈদুতিন যন্ত্রপাতি বন্ধ করতে হবে: বাইরে যাওয়ার আগে লাইট, ফ্যান, গিজার, মিক্সার, চিমনি, বৈদ্যুতিক গ্যাস, ইন্ডাকশন, কুলার এবং এসি বন্ধ করে দিতে হবে। এই সব বৈদুতিন যন্ত্রপাতি বন্ধ না করে বাড়ি থেকে বেরোনো অবশ্যই ইলেকট্রিল বিল বেশি আসার একটি কারণ।
- এলইডি ব্যবহার: সাধারণ বালবের তুলনায় এলইডি বালবে কম বিদ্যুত্ খরচ হয় এবং উজ্জ্বলতাও বেশি হয়। তাই বিদ্যুতের খরচ কমাতে বাড়িতে এলইডি বালব ব্যবহার করাই শ্রেয়।
- ফ্রিজ ডিফ্রস্টিং করা: অনেক সময়েই ফ্রিজে বেশি বরফ জমে থাকলে ফ্রিজের ঠাণ্ডা করার ক্ষমতা কমে যায়। যার ফলে বিদ্যুত্ খরচও বেশি হয়। তাই কিছু দিন বাদে বাদেই ফ্রিজ ডিফ্রস্টিং করা উচিত।
- টিভি দেখার সময় বেঁধে দেওয়া: অনেকেরই রাতে টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস রয়েছে। ফলে সারা রাত টিভি চললে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিদ্যুত্ খরচ হতে থাকে। যার ফলে মাসের শেষে প্রচুর ইলেকট্রিক বিল আসে। তাই বিদ্যুত্ এবং অর্থ সাশ্রয়ের জন্য টিভিতে সময় সেট করা উচিত, যাতে এটি স্বয়ংক্রিয় ভাবে নির্ধারিত সময়ে বন্ধ হয়ে যায়।