নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে সব রাজনৈতিক দলকে। প্রচার সারতে হবে কোভিড বিধি মেনেই। চলবে না কোনও রকমের র্যাডলি, রোডশো। করা যাবে না কোনওরকম বড়সভাও। শুধুমাত্র শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে ৫০০জন লোককে নিয়ে ছোটখাটো সভা করা যাবে। কিন্তু কমিশনের সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এদিন মালদা জেলার সদর মহকুমার বৈষ্ণবনগরের বুকে মিঠুন চক্রবর্তীর সভায় ভিড় করলেন হাজারো জনতা।
আর সেই ভিড়ের জেরেই ভাঙল কোভিডের বিধি। নানা সংবাদমাধ্যমে সেই ছবি ঘুরে বেড়ানোর পরে নির্বাচন কমিশনের তরফে মালদার জেলা শাসক অনুষ্ঠানের আয়োজন হিসাবে বিজেপির বিরুদ্ধে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে এফআইআর করার নির্দেশ দিল। ঘটনার জেরে চাপে পড়ে গেলেন ‘মহাগুরু’ও। কেননা এই অভিযোগের জেরেই গ্রেফতার হতে পারেন তিনি।
গ্রেফতার হতে পারেন বিজেপির প্রার্থীও। কোভিডবিধি শিকেয় তুলে মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে এসে নির্বাচনী প্রচার সভার আয়োজন করল বিজেপি। মালদার বৈষ্ণবনগর এলাকায় একটি ফুটবল খেলার মাঠে বিজেপি প্রার্থী স্বাধীন কুমার সরকারের সমর্থনে মিঠুন চক্রবর্তীকে দিয়ে ওই সভার আয়োজন করে ব্লক বিজেপি নেতৃত্ব। সেই সভায় কমিশনের নির্দেশ মেনে ৫০০ লোকের বসার ব্যবস্থা করা হলেও মিঠুন চক্রবর্তী ও তাঁর সঙ্গে থাকা হেলিকপ্টার দেখতে হাজার কয়েক লোক উপস্থিত হন বৈষ্ণবনগর মাঠে।
ফলে করোনাবিধি তখন আর মানা যায়নি। মালদা জেলা যখন কোভিডে কাঁপছে তখন হাজার হাজার লোক নিয়ে এদিনের সভা করা কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে জেলাজুড়েই। মিঠুন চক্রবর্তীর জনসভা নির্বাচন কমিশনের আইনকে অমান্য করেছে বলেই বিরোধীরা দাবি করেন।
মিঠুন চক্রবর্তীর ছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, বিজেপি প্রার্থী স্বাধীন কুমার সরকার, মালদা জেলা বিজেপির সম্পাদক মনোজ কুমার মন্ডল সহ অন্যান্যরা। আর এরপরে পরেই জেলা শাসক এই সভার আয়োজকদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেন জেলাশাসক।