ধ্বস্ত আফগানিস্তান। বন্দুক হাতে সেখানে শুধুই তালিবানিদের দাপাদাপি। ঝড়ছে রক্ত। এই অবস্থার জন্য মার্কিন প্রসিডেন্ট জো বাইডেনের আফগান নীতিতে দায়ী করলেন তাঁর পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প। বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলেছেন, ‘সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে আমেরিকা।
গোটা বিশ্ব আমাদের বোকা মনে করছে, ভাবছে আমরা দুর্বল। এটা অত্যন্ত হতাশার।’
ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে ট্রাম্প বলেছেন যে, ‘যতটা সম্ভব ততটাই খারাপ অবস্থায় রয়েছি আমরা। এরকম হতে পারে দু’সপ্তাহ আগেও তা কেউ ভাবতে পারেনি। ৩১শে অগস্টের মঘ্যে আমাদের সেদেশ ছাড়তে হবে, তালিবানরা নির্দেশ দিচ্ছে, নয়তো পরিণতি ভয়ঙ্কর। অবিশ্বাস্য।’
আফগানিস্তান থেকে এপ্রিলেই সেনা প্রত্যাহের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন জো বাইডেন। তারপরই সেদেশ থেকে ক্রমেই মার্কিন সেনা যেতে শুরু করে। আর এতেই নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে থাকে তালিবানরা। শেষ পর্যন্ত কার্যত বিনা যুদ্ধেই চলতি মাসের ১৫ তারিখ কাবুল সহ প্রায় পুরো আফগানিস্তানই দখল করে নেয় তালিবানরা। তারপর থেকেই ওই দেশে হাহাকার শুরু। আগে তালিবান শাসনের স্মৃতি মনে করেই দেশ ছাড়তে মরিয়া হাজার হাজার আফগান। বিমানবন্দরজুড়ে অড়াজগতা। এরপরও ওয়াশিংটনকে তালিবানদের হুঁশিযারি, ৩১ অগস্টের মধ্যেই যেকোনও মূল্যে আমেরিকাকে সেনা প্রাত্যাহার করতে হবে।
তালিবানদের এই চড়া শুরই অবাক করেছে ট্রাম্পকে। তাঁর কথায়, ‘মনে হয় বাইডেন সেদেশে কয়েক কোম্পানি সেনা রাখতে প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু তালিবানরা রাজি নয়। ওরা বলেছে সেনা না চলে গেলে পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে। এটা কীধরণের কথা?’ আফগানিস্তানে সেনার অবস্থান নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের সিদ্ধান্ত বিব্রতকর। এধরণের বিষয়ের সম্মুখীন আমেরিকা প্রথম হল। মনে করেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তাঁর সময় তালিবানরা আফগানিস্তানে দাঁত ফোটাতেও দু’বার ভাবতো বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। কড়া চুক্তি ও তুখোর প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের জেরেই এই অবস্থা বিরাজ করত বলে জানিয়েছেন তিনি। তালিবানদের অযথা বিশ্বাসেরও কোনও কারণ আছে বলে মনে করেন না ট্রাম্প। তবে, বাইডেন সবার আগে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা করেই ভুল করেছে বলে জানিয়েছেন তাঁর পূর্বসূরি। বাইডেনের নীতির কারণেই আমেরিকার প্রতি আম আফগানিদের বিশ্বাস হারিয়েছে বলে দাবি করেছেন হোয়াই হাউসের প্রাক্তন সর্বময় কর্তা।