বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারের রহস্য মৃত্যু। ঘটনার তদন্তে এলো ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দল। তিন সদস্যের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। বিভিন্ন তথ্য ও নমুনা সংগ্রহ করে বিশেষজ্ঞরা। ময়না তদন্তের রিপোর্ট ও পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। ওই জুনিয়র ডাক্তারকে খুন করা হয়েছে বলে এদিনও দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা। মৃতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।
মঙ্গলবার গভীর রাতে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের তিন নম্বর হস্টেলের পিছন থেকে শেখ মোবারক হোসেন (২৪) নামে সার্জারি বিভাগের এক হাউজ স্টাফের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের পাশাপাশি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে বলে গতকালই জানিয়েছিল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এদিন তিন সদস্যের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দলট ঘটনাস্থলে যায়।
যে বিল্ডিং এর তলায় জুনিয়র ডাক্তার এর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল সেই বিল্ডিং এর উচ্চতা ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। সেসময় যারা ওই জুনিয়র ডাক্তারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের সঙ্গেও কথা বলেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। প্রথম প্রত্যক্ষদর্শীরা শব্দ শুনেই বাইরে যান। বেরিয়ে মোবারকের দেহ উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অপারেশন থিয়েটারে ঢোকানোর পরে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন সহপাঠীরা।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজের ৩ নম্বর বয়েজ হস্টেলের তিন তলার ব্যালকনি থেকে পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। এখন সে নিজে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করল নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মৃত জুনিয়র ডাক্তারের বাবা সেখ হাফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, আত্মহত্যা নয় তার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। তাঁর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।