বছর শেষের আগেই শিশুদের ভ্যকসিন দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি জানান, , ‘‘আগামী কয়েক সপ্তাহে অথবা সেপ্টেম্বরের মধ্যেই শিশুদের জন্য প্রতিষেধক এসে যাওয়া উচিত। তাই পুজোর আগেই শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া হতে পারে। ’’
কিন্তু প্রশ্ন হল, দেশে যখন কোভ্যাক্সিন নির্মাতা ভারত বায়োটেক ভ্যাকসিনের যোগান দিতে পারছে না, এর মধ্যে আবার নতুন করে, শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়ার চাপ কি নিতে পারবে? এ বছরের শেষের মধ্যে সব প্রাপ্তবয়স্ককে প্রতিষেধক দেওয়া যাবে কি না, তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। এ নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী টুইটারে লিখেছেন, ‘‘মানুষের জীবন সুতোয় ঝুলছে। আর সরকার মেনে নিচ্ছে যে, কোনও সময়সীমা নেই। শিরদাঁড়া না-থাকার আদর্শ উদাহরণ।’’
গুলেরিয়া বলেন, ‘‘মনে রাখতে হবে, দেশের বড় সংখ্যক পড়ুয়ার কাছে কম্পিউটার-ইন্টারনেটের সুবিধা নেই। যত দ্রুত সম্ভব ফের ক্লাসঘরে ক্লাস করানো শুরু হোক। কারণ, এক জন ছাত্র বা ছাত্রীর চরিত্র নির্মাণে স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। তা কখনওই ভার্চুয়াল ক্লাসের মধ্যে অর্জন করা সম্ভব নয়। তাই যেখানে সংক্রমণ কম, সেখানে ধাপে ধাপে স্কুল খোলা উচিত। ’’ এর পাশাপাশি তিনি জানান, ‘আমার মনে হয় জাইডাসের ট্রায়াল ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। তারা বর্তমানে জরুরী অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছে। ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালও অগস্ট বা সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়া উচিৎ। সেই সময়ের মধ্যে অনুমোদনও পেয়ে যাবে। এদিকে ফাইজারের ভ্যাকসিনকে ইতিমধ্যেই অনুমোদন দিয়েছে এফডিএ। আশা করা হচ্ছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমরা শিশুদের টিকাকরণ শুরু করতে পারব। সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে এটা বড় সাহায্য করবে।’