রাজ্যজুড়ে দুর্যোগ অব্যাহত। বিক্ষিপ্তভাবে জেলায়-জেলায় ভারী থেকে থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বন্যায় ভাসছে বহু এলাকা। এর মাঝেই ফের বজ্রপাতের জেরে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হল রাজ্যে। শনিবার সন্ধে পর্যন্ত দুই জেলা নন্দীগ্রাম এবং পূর্ব বর্ধমান থেকে মোট চারজনের মৃত্যু খবর মিলেছে। জখম কয়েক জন।
শনিবার নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় বজ্রপাতে দুই যুবকের মৃত্যু হয়। তাঁদের নাম মানস জানা এবং কৃষ্ণকান্ত জানা। এদিন দু’জনেই মাঠে কাজ করছিল। সেই সময় প্রবল বৃষ্টি এবং বজ্রপাত শুরু হয়। সেখানেই বাজ পড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। সরকারি খরচে তাঁদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দপ্তরের পক্ষ থেকে সোমবার দু’টি পরিবারের হাতে দু’লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য তুলে দেবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় ব্লক প্রশাসন।
অন্যদিকে পৃথক ঘটনায় শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় বজ্রপাতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন সাতজন। তাঁদের চিকিত্সার জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে মাধবডিহি থানার আরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের নিলুট গ্রামে তিনজন মহিলা মাঠে কাজ করছিলেন। সেইসময় বজ্রপাত ঘটে। তাতে সুকুরমণি সোরেন নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি জামালপুর থানার শম্ভূপুর গ্রামের বাসিন্দা। বজ্রপাতে জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন মণিকা মাণ্ডি ও মানসী হেমব্রম। তাঁদের বাড়ি নিলুট গ্রামেই। এদিনই আউশগ্রামের বিল্বগ্রামেও মাঠে ধানের চারা রোপণের কাজ করার সময় বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ৫ জন। মৃতের নাম বনমালী ধারা। গুরুতর জখম রবি বাগদি, মমতা বাগদি, মঞ্জু বাগদি, জ্যোত্স্না বাগদি ও শেফালি বাগদি -কে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তাঁদের সকলের বাড়ি বিল্বগ্রামেই। এদিন দিনভর দফায় দফায় বৃষ্টিপাত হয়েছে জেলায়। বিকেল থেকে টানা বৃষ্টি চলছে জেলার বড় অংশে।