নবান্ন অভিযানে গিয়ে নিখোঁজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া বাহারপোতা গ্রামের এক বামকর্মী। তিনদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিলেও যুবকের সন্ধান পাইনি পরিবার।
জনস্বার্থে প্রচারিত
অজানা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে তার পরিবার। ওই বাম কর্মীর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। চাকরি, শিক্ষা-সহ একাধিক দাবিতে বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযান এর ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র সংগঠন। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে পাঁশকুড়া থানার বাহারপোতা গ্রামের বাসিন্দা দীপক পাজা এসেছিলেন হাওড়া। তার স্ত্রী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ন’টায় কলকাতা যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান দীপক, সন্ধ্যায় প্রতিবেশীরা জানান ওই যুবককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
কলকাতার অশান্তির মধ্যে পড়েছিলেন তিনি, ঐদিন রাতে নবান্ন অভিযানে যোগদানকারী এলাকার বাকি বামকর্মীরা ঘরে ফিরলেও দিপক বাড়ি ফেরেনি। বহু চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবারের সদস্যরা। কোথায় গেল ঘরের ছেলে ? তা জানতে পুলিশের দ্বারস্থ পাজা পরিবার। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী এখনো যুবকের কোন হাদিস মেলেনি।
এই ঘটনায় পুলিশকে দায়ী করেছেন এস এস ইউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন এই সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির কার্যকরী সদস্য শ্রী প্রতাপ চুনারী। তিনি জানিয়েছেন, আমি যতদূর শুনেছি দীপক নিরক্ষর তাই পুলিশ উদ্যোগ না নিলে দীপক বাবুর পক্ষে একা বাড়ি ফিরে আশা কার্যত অসম্ভব। পুলিশ পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন, নাকি কোথাও লুকিয়ে রেখেছেন, নাকি পুলিশের এই নির্মম অত্যাচারের ভয়ে কোথাও লুকিয়ে আছে, নাকি পুলিশের মানুষের প্রতি অমানবিক অত্যাচার দেখে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছিনা।
যাই হোক অতিশীঘ্র পুলিশ প্রশাসনের কাজ দীপককে খুঁজে বের করে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া। যদি দীপককে না পাওয়া যায় বা দীপকের পরিবারের যদি কোন সমস্যা হয়, এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী থাকবে পুলিশ প্রশাসন, আমরাও ছেড়ে কথা বলবো না, এস এস হিউম্যান রাইটস এই সংগঠনের সর্বভারতীয় সভানেত্রী মাননীয়া সঙ্গীতা চক্রবর্তীর সাহায্যে, এই ঘটনার কথা তুলে ধরব আমরা মানবাধিকার দিল্লি কমিশনে এবং পাঠিয়ে দেবো সঠিক বিচার।